উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে একজন মৌলবী আচমকাই গণবিবাহের আসর বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তবে তাতে কিছুটা অন্যরকম বিষয় ছিল। আসলে তিনি হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে মুসলিম যুবকদের বিয়ের উদ্যোগ নেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা তিনি ঘোষণা করেন। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কেন তিনি এই ধরনের পরিকল্পনা করলেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে ওই মৌলবী দাবি করেছেন যে মহিলারা ইতিমধ্য়েই লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন মুসলিম যুবকদের সঙ্গে তাঁদেরই বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বেরেলির রাজনৈতিক দল ইত্তেহাদ -ই- মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান মৌলানা তাউকির রাজা খান সোমবার জানিয়েছেন, আমি ১৫জন হিন্দু মহিলার সঙ্গে মুসলিমদের বিয়ের ব্যবস্থা করব। কারণ সামাজিক নানা কারণে তারা একসঙ্গে থাকতে পারছেন না।
এরপরই তাঁর এই ঘোষণাকে ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবি এই ধরনের ঘটনা মানা যায় না।
বেরেলির এসএসপি অনুরাগ আর্য জানিয়েছেন, এই বিয়ের জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। আমরা গোয়েন্দা বিভাগকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। থানাকেও এনিয়ে জানানো হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না।
সোমবার আইএমসি নেতা নাদিম কুরেশি এই আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
রাজা জানিয়েছেন, আটজন পুরুষ আর ১৫জন মহিলা মুসলিম ধর্মে আসতে চাইছেন। তারা ইতিমধ্য়েই একটি সম্পর্কে রয়েছেন। তাঁরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্কা। আমরা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি। আমরা পাঁচজন দম্পতিকে ধর্মান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অবৈধ কিছু করছি না।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমার বক্তব্যকে ভুল ভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে। আমি এমন কয়েকজন মহিলার কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম যারা ইতিমধ্য়েই একটি সম্পর্কের মধ্য়ে রয়েছেন। আমার একমাত্র পরিকল্পনা ছিল তাদের যাতে বিয়ে দেওয়া যায়। যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় তবে আমরাও বলব যে যখন মুসলিম মহিলাদের হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় বিয়ের জন্য।