বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ভিনধর্মের মেয়েকে অপহরণ করিনি, স্ব-ইচ্ছায় বিয়ে, প্রমাণ করতে সময় লাগল ২৭ বছর

ভিনধর্মের মেয়েকে অপহরণ করিনি, স্ব-ইচ্ছায় বিয়ে, প্রমাণ করতে সময় লাগল ২৭ বছর

প্রতীকী ছবি। 

মেধা বিয়ের সময় নাবালিকা ছিলেন ও তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এই দুটি অভিযোগ থেকেই আদালত রেহাই দিয়েছে। নায়েব বলেন, আমার স্ত্রী ও চার সন্তান এই লড়াইতে আমায় সহায়তা করেছিল। আমরা ভিনধর্মের বলে এত কথা উঠেছিল। কিন্তু সত্য়টা প্রমাণ করেছি।

শ্রুতি তোমার

ভিন্নধর্মের দম্পতি। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তারা লড়াই করছিলেন শুধু এটা প্রমাণ করার জন্য যে তারা স্বইচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন। কোনওভাবেই ওই মহিলাকে অপহরণ করে ও বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি।

১৯৯৫ সালের জুন মাস। উত্তরপ্রদেশের পান্না। ২৩ বছরের নায়েব খান ও ১৮ বছরের মেধা গৌতম। দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মেধার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মেয়ে বেরিয়েছিল। আর ফেরেনি। এদিকে পুলিশের দাবি উঠোন থেকেই নায়েব, মেধাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। মাসখানেক তারা কানপুরে ছিলেন। বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিল নায়েব।পরে নায়েবের বাড়়ি থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

কোর্টে মেধার মার্কশিট দেখিয়ে তার বাবা জানিয়েছিলেন, আমার মেয়ে নাবালিকা।

এরপর নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে নায়েবকে দুবছরের জন্য কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল পান্না জেলা আদালত। নায়েবের আইনজীবী আমানুল্লাহ উসমানি বলেন, নায়েব পরে জামিনে মুক্তি পান। পরে তারা সুখী বিবাহিত জীবন শুরু করেন। কিন্তু অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে যান নায়েব। শুরু হয় আইনি লড়াই। ২৭ বছরের লড়াই। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অঞ্জলি পালো তাকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে রেহাই দিলেন।

মেধা বিয়ের সময় নাবালিকা ছিলেন ও তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এই দুটি অভিযোগ থেকেই আদালত রেহাই দিয়েছে। নায়েব বলেন, আমার স্ত্রী ও চার সন্তান এই লড়াইতে আমায় সহায়তা করেছিল। আমরা ভিনধর্মের বলে এত কথা উঠেছিল। কিন্তু সত্য়টা প্রমাণ করেছি।

বন্ধ করুন