আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রায়াল কোর্টের অর্ডারে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তৎকালীন দিল্লি আবগারি পলিসি অনুসারে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল ইডি। এরপরই বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন এই স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।
আদালতে জানিয়েছে, দু তিন দিনের মধ্যেই বিস্তারিত অর্ডার দেওয়া হবে। তার আগে গোটা বিষয়টিকে স্থগিত রাখা হচ্ছে। তার মাঝামাঝি সময় ট্রায়াল কোর্টের যে জামিনের নির্দেশ ছিল সেটা স্থগিত করা হল।
আদালত জানিয়েছে, দু তিনদিন পরেই বিস্তারিত রায় দেওয়া হবে। সেই রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জামিনের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে খবর।
এদিকে বৃহস্পতিবার ট্রায়াল কোর্ট কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছিল। সেই সঙ্গেই এক লাখ টাকার জামিন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। রউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারপতি ন্যায় বিন্দু জানিয়েছিলেন, ইডি কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি যাতে বোঝা যায় যে কেজরিওয়াল এই অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। সেই সঙ্গেই স্পেশাল জাজ জানিয়েছিলেন যে কেজরিওয়ালের মামলার ক্ষেত্রে ইডি কিছুটা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। বৃহস্পতিবার এই রায় পাশ করা হয়েছিল। তবে শুক্রবারই একমাত্র এই রায়টা প্রকাশ্যে আসে।
প্রসঙ্গত গত ২১শে মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে মদ বিক্রেতাদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য তিনি নানা ধরনের অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একাধিক আর্থিক তছরূপের সঙ্গে তিনি যুক্ত বলে অভিযোগ। এদিকে কেজরিওয়াল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। এদিকে এই মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অপর আপ নেতা মণীষ শিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিংকে।
মণীষ এখনও জেলে রয়েছেন। তবে সঞ্জয় সিং বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তবে ভোটের আগে কিছুদিনের জন্য ছাড়া পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই তাঁকে ফের জেলে ফিরতে হয়।
এদিকে এর আগে আপ নেতার জামিনের খবরে খুশি ছড়িয়ে পড়েছিল আপ শিবিরে। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমোর জামিন মঞ্জুর করেছিল দিল্লির আদালত। সেইসঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ওই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ প্রদানের যে আর্জি জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), তাও খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারক। আর তারপরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন আপের নেতা-কর্মীরা। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেতা অতিশি বলেছিলেন, ‘সত্যমেব জয়তে।’ উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের আপ নেতাদের গলায়। উত্তর ২৪ পরগনার আপের জেলা সভাপতি তুলিকা অধিকারী বলেছিলেন, ‘নায়ক ইজ ব্যাক। আমার নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জিন্দাবাদ।’
তবে সেই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হল না।