আইআইটি বম্বের রাসায়নিক বিভাগের প্রথম বর্ষের বিটেকের ছাত্র দর্শন সোলাঙ্কির মৃত্যুর ঘটনায় গঠন করা হল তদন্ত কমিটি। কী কারণে আত্মহত্যা করল ওই ছাত্র? তা খতিয়ে দেখবে এই তদন্ত কমিটি। সোমবার ওই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে একটি শোক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বেশ কয়েকজন ছাত্র, কলেজের অধ্যাপক এবং কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। এদিন ক্যাম্পাসে আয়োজিত শোক সভায় মৃত ছাত্রের স্মরণে ২ মিনিটের নীরবতা পালন করেন সেখানে উপস্থিত সকলেই।
ইনস্টিটিউটের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সোলাঙ্কির মৃত্যুর ঘটনায় এই শোক সভার আয়োজন করা হয়েছে। যদিও আমরা যা হারিয়েছি তা আর ফেরাতে পারব না, তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রের এই মৃত্যুকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক, এই ধরনের ঘটনা আমরা আটকাতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, সোলাঙ্কি ক্যাম্পাসের ১৬ নম্বর হস্টেলে থাকতেন। রবিবার বিকেলে হস্টেল ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আইআইটি বম্বেতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের শেষ সেমিস্টার শেষ হয়েছে গত শনিবার। পড়াশোনার চাপ সইতে না পেরে ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি অনেকেরই। এদিকে, ছাত্রের মৃত্যুতে গত রবিবার রাতে ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর হস্টেলের কাছে মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক প্রকাশ করেন পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, সোলাঙ্কি যে হস্টেলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সেই হস্টেলের সমস্ত পড়ুয়া প্রথম বর্ষের ছাত্র৷
পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে বম্বে আইআইটিতে ভর্তি হয়েছিলেন গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা দর্শন সোলাঙ্কি। রবিবার দুপুরে হস্টেলের আটতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। দর্শন সোলাঙ্কির মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। অতিরিক্তি পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই ছাত্র আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। যদিও পুলিশের এই দাবি নিয়ে একমত হতে পারেনি পড়ুয়াদের একাংশ। মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে দাবি করেন পড়ুয়াদের একাংশ। অনেকেই, এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করা সত্ত্বেও বম্বে আইআইটি কর্তৃপক্ষ দলিত বা পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। মৃত পড়ুয়ার ঘর বা দেহের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না যাওয়ায়, মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup