ত্রিপুরা প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও মনোবল ভাঙেনি আইপ্যাক কর্মীদের। আর তাই বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে মোদী-শাহ জুটিকে আটকে দেওয়ায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার উপর ভরসা বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই সর্ব ভারতীয় হয়ে ওঠার তাগিদে ত্রিপুরায় আইপ্যাককে কাজে লাগাতে চান মমতা-অভিষেক। সেই মর্মে উত্তর-পূর্বের এই বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও বাধার মুখে পড়তে হয় সংস্থার কর্মীদের। তবে এতে দমতে নারাজ আইপ্যাক।
এর আগে অভিযোগ ওঠে, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে আটক করা হয় ২৩ জন আইপ্যাক কর্মীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বৈধ অনুমতি ছাড়াই ত্রিপুরায় একটি সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এমনকী, ভুয়ো পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহেরও অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিপ্লব কুমার দেবের সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রুটিন তল্লাশি চালানোর সময়েই একটি হোটেল থেকে টিম পিকে-র এই সদস্যদের আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটে রবিবার। সেদিন রাতভর আটকে রাখা হয় তাঁদের। ত্রিপুরায় ঠিক কী ধরনের কাজ তাঁরা করছিলেন, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। পরে অবশ্য কোভিড পরীক্ষার অজুহাত দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই আইপ্য়াক সদস্যদের গতিবিধি নিয়ে তাদের কাছে নানা খবর আসছিল। রাজ্যের নানা অংশে আইপ্য়াকের বহু সদস্য ছড়িয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। তার উপর ভিত্তি করে তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেসও তৈরি করা হচ্ছে। এই আবহে হোটেলে আইপ্যাক কর্মীদের আটক রাখার বিষয়টি সামনে আসতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে বিপ্লব দেবের সরকার।