স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে মধ্যে আত্মহত্যা করলেন একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল অসমের গুয়াহাটিতে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অসমের পুলিশ মহলে। মৃত আইপিএস অফিসারের নাম শিলাদিত্য চেতিয়া। অসমের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউয়ের বাইরে নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই আইপিএস অফিসার।
আরও পড়ুন: ভোটের ডিউটি পেয়ে ব্লেড দিয়ে হাত কাটার চেষ্টা মহিলা পুলিশের, ফেসবুক লাইভে আলোড়ন
জানা যাচ্ছে, দু'বছর আগে আইপিএস অফিসারের স্ত্রী'র ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাতে শুরু করেন আইপিএস অফিসার। কিন্তু, কোথাও কোনও কাজ হয়নি। সম্প্রতি চেতিয়ার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন তাঁকে গুয়াহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তিনি । সেই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন আইপিএস অফিসারের স্ত্রী।
স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন আইপিএস অফিসার চেতিয়া। তিনি নিজেকে সামলাতে পারেননি। তখন হাসপাতালের আইসিইউ-এর বাইরে নিজের সার্ভিস রিভলভার বের করে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন চেতিয়া।
জানা যাচ্ছে, চেতিয়া অসম-মেঘালয় ক্যাডারের ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার ছিলেন। শিলাদিত্য চেতিয়াকে অসমের স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগের সচিব হিসেবেও নিয়োগ করা হয়েছিল।
অসম পুলিশের ডিজি জিপি সিং নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে সহকর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে শিলাদিত্য মঙ্গলবার বিকেলে নিজের জীবন শেষ করেছেন।’ একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, বিকেল সাড়ে ৪টের দিকে ওই আইপিএস অফিসার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউয়ের বাইরে নিজের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আত্মঘাতী হয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, চেতিয়া এর আগে তিনসুকিয়া ও সোনিতপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ করার আগে অসম পুলিশের ৪ নম্বর ব্যাটলিয়নের কমান্ড্যান্ট এবং অসম পুলিশের ডিআইজি (প্রশাসন) হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।