বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক ইরানের, উদ্ধার বালোচ জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ২ সীমান্তরক্ষী

পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক ইরানের, উদ্ধার বালোচ জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ২ সীমান্তরক্ষী

সর্জিকাল স্ট্রাইক হেনে জইশ-উদ-আদল সংগঠনের (ছবিতে) হাতে অপহৃত দুই সীমান্ত রক্ষীকে উদ্ধার করল ইরানি সেনাবাহিনী।

বালোচ জঙ্গিদের কব্জা থেকে দুই সেনাকর্মীকে মুক্ত করল ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডস (IRGC) বাহিনী।

পাকিস্তানে এবার সার্জিকাল স্ট্রাইক ইরানের। বালোচ জঙ্গিদের কব্জা থেকে দুই সেনাকর্মীকে মুক্ত করল ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডস (IRGC) বাহিনী। 

দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের IRGC গ্রাউন্ড ফোর্সের কুদস বেস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সফল গোপনীয় অভিযানে দুই ইরানি সীমান্তরক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত মঙ্গলবার রাতে সফল অভিযানে আড়াই বছর আগে জইশ-উদ-আদল সংগঠনের হাতে অপহৃত দুই সীমান্ত রক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে।’

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের উগ্রপন্থী ওয়াহাবি জঙ্গি সংগঠন জইশ-উদ-আদল ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা থেকে ১২ জন IRGC রক্ষীকে অপহরণ করে বালোচিস্তান প্রদেশের সিসতান অঞ্চলের মেরকাভা শহরে নিয়ে যায়। অপহৃত সীমান্তরক্ষীদের উদ্ধার করতে যৌথ কমিটি গঠন করে তেহরান ও ইসলামাবাদ। 

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর অপহৃত ৫ IRGC রক্ষীকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ আরও চার অপহৃত ইরানি সেনাকে উদ্ধার করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

ইরানে বালোচ সুন্নিপন্থীদের অধিকার রক্ষায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষিত জইশ-উদ-আদল ইরান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সীমান্ত অতিক্রমকরে ইরানে প্রায়ই আঘাত হানে জইশ জঙ্গিরা। ২০১৯ সালে ইরানের বসিজ সংসদীয় ঘাঁটিতে  সামরিক বাসের উপরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন IRGC সদস্য। 

এর আগে ২০১৪ সালে ইরান সীমান্তের জাকিগৌর অঞ্চল থেকে পাঁচ IRGC সদস্যকে অপহরণ করেছিল জইশ-উদ-আদল।দুই মাস পরে তাঁদের মধ্যে চারজনকে মুক্তি দিলেও পঞ্চম অপহৃতকে তারা হত্যা করে। কেয়ক মাস পরে ইরানে তাঁর দেহ ফেরত পাঠানো হয়। 

২০১৫ সালের মার্চ মাসে পাক সংবাদমাধ্যমকে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানে কোয়েটা থেকে ৫০ কিমি দূরে একটি বাস থেকে জইশ প্রধান অবদোলমালেক রিগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইরান ও পাকিস্তানে আত্মঘাতী সন্ত্রাস হানা এবং ইরাক ও সিরিয়ার সংঘর্ষে সন্ত্রাসবাদী পাঠানোর অভিযোগ ছিল। 

অন্য এক সূত্রে আবার দাবি করা হয়, আবদোলমালেক নন, তাঁর তুতো ভাই আবদো-সাত্তার রিগিকেই আসলে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে গোয়েন্দা রিপোর্টেও এই দাবি সত্য বলে জানা যায়।

বন্ধ করুন