ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গিয়েছেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়। এরপরই এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের 'গন্ধ' খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। এরই মাঝে এবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে বড় দাবি করা হল ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, 'যান্ত্রিক ত্রুটির' কারণে রাইসির হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল পাহাড়ে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান নাকি এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে আমেরিকার কাছে 'সাহায্য' চেয়েছিল। তবে আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিকাটামোগত সমস্যার কারণে তারা সাহায্য করতে 'ব্যর্থ'। (আরও পড়ুন: 'আমার জীবনে রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান...', মমতার তোপের পালটা 'আবেগ কার্ড' মোদীর)
আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এল বড় বদল, দিশা দেখাবে কলকাতার বাকি রুটগুলিকেও
উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর শাসনামলেই ইরানি-কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ব্যাপক নাগরিক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। মনে করা হচ্ছিল, ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হতে পারতেন রাইসি। এদিকে রাইসির মৃত্যু নিশ্চিত করার পরই ইরানের ক্যাবিনেট একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, 'কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই ইরান সরকার কাজ চালিয়ে যাবে। এই অনুগত জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আয়াতোল্লাহ রাইসির অক্লান্ত চেতনায় সেবার পথে অব্যাহত ভাবে হাঁটতে থাকব আমরা।' (আরও পড়ুন: BJP নেতার থেকে ৩৫ লাখ মিলতেই SP বদল? অভিষেকের অভিযোগের পর সামনে এল নয়া দাবি)
আরও পড়ুন: কর্মী সংখ্যা কমলেও ক্রমে 'স্মার্ট' হচ্ছে কলকাতা মেট্রো, সামনে এল নয়া তথ্য
আরও পড়ুন: ভোটের দায়িত্বে থাকা জওয়ানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল BSF, বলল…
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর তেহরানে ফিরছিলেন রাইসি এবং আমিরাবদোল্লাহিয়ান। জানা গিয়েছে, উড়ান শুরুর ৩০ মিনিট বাদে ঘন মেঘের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল রাইসির কপ্টারটি। প্রেসিডেন্টের সেই কনভয়তে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে বাকি দুটি হেলিকপ্টার অবশ্য সুরক্ষিত ছিল। সেই দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকারী দল পার্বত্য এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। খারাপ আবহাওয়া ও তুষারপাতের কারণে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লাগে উদ্ধারকারী দলের। পরে উদ্ধারকাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় রাশিয়া। বিশেষ প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল সহ হেলিকপ্টার পাঠিয়েছিল মস্কো। পরে ইরানের রেড ক্রেসান্টের প্রধান জানান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল সেই দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পরে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায়, ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারে কারও বেঁচে থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, পাহাড়ে ভেঙে পড়ার পরে চপারটিতে আগুন ধরেছিল। জানা যায়, তুরস্কের ড্রোনের সাহায্যে পাহাড়ের মাঝে জ্বলন্ত কিছু লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেখানে গিয়েই সেই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা যায়।