সদ্য ইজরায়েলের যুদ্ধবিমানের এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের একাধিক সেনা ঘাঁটি ছিল টার্গেটে। এরপর বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লা খামেইনেই পাল্টা ইজরায়েলের ওপর বড় এক হামলার নির্দেশ সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে দিয়েছেন। ফলে জল্পনার মাত্রা চড়ছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ভয়াবহ কোনও হামলা ইজরায়েলের ওপর হতে চলেছে?
আয়াতুল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মহম্মদ মোহামাদি গোলপায়েগানি বলছেন,' আমাদের দেশের ওপর ইজরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা একটি আগ্রাসী পদক্ষেপ। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান এর একটি কড়া জবাব দেবে, যার জন্য অনুতাপ করতে হবে' ইজরায়েলকে। তাসনিম নিউজ এই উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমস, তিন জন অফিশিয়ালের বক্তব্য তুলে ধরে তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লা খামেনেই ইরানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন ইজরায়েলে হামলার বিষয়ে। জানা গিয়েছে, ইরানের মিসাইল উৎপাদন ক্ষমতার পরিস্থিতি, তেহরানের কাছে ইয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিষয়ে ইরানের সেনার থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখার পরই এই নির্দেশ খামেনেই দিয়েছেন বলে খবর। এছাড়াও ওই রিপোর্টে খামেনেই জানতে চেয়েছেন ইরানের ক্রিটিক্যাল এনার্জি ইনফাস্ট্রাকচার মূল বন্দরের পরিস্থিতির কথা। এর আগে, ১ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর ভয়াবহ হামলা চালায় ইরান। এরপর পাল্টা দবাবে ইরানের পর পর সেনা ছাউনি উড়িয়ে দেয় ইজরায়েল। ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ইরান সমর্থিত জঙ্গি নেতা এবং একজন বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
(Video: কালীপুজোর রাতে মির্জাপুরের সাঁতরা বাড়ির বড় বউমাকেই দেবীরূপে প্রজন্ম ধরে পুজোর রীতি রয়েছে)
( Kalyan Banerjee Crying: ‘করুণাময়ী.. মাগো মা..’ কালীমূর্তি ছুঁয়ে অবেগের কান্নায় ভাসলেন কল্যাণ)
গোলপায়েগানি ভূয়সী প্রশংসা করছেন ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের। তিনি বলেন, এর দ্বারাই ইজরায়েলের ইরানের ভিতরে এয়ারস্ট্রাইক অনেকটাই রোখা গিয়েছে। ইরানের দাবি মতোই আয়াতুল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মহম্মদ মোহামাদি গোলপায়েগানি বলছেন,' খুব অল্প' আঘাত হানতে পেরেছে ইজরায়েল। গোলপায়েগানি হলেন একজন প্রভাবশালী আলেম যিনি খামেনির অফিসের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন, যিনি রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখেন। হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা 'ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে আঘাত করা হয়েছে।'