অতীতের বিস্ফোরক ঘটনা এবার গোটা বিশ্বের সামনে নিয়ে এলেন পোপ ফ্রান্সিস। তাঁকে যে আত্মঘাতী বোমা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল সেটা এবার সামনে নিয়ে এলেন পোপ ফ্রান্সিস। সামনেই বড়দিন। তার আগে নিজের আত্মজীবনীতে ওই ঘটনা তুলে ধরলেন তিনি। যা নিয়ে এখন তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বিশ্বে। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ পোপ ফ্রান্সিসের আত্মজীবনী প্রকাশ পাবে। তার আগে তাঁর পাণ্ডলিপি থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাঁর আত্মজীবনী বইটির নাম ‘হোপ’ অর্থাৎ আশা।
পোপ ফ্রান্সিসকে বলা হয় শান্তির দূত। সেখানে তাঁকেই এভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পোপ নিজের আত্মজীবনীতে ফাঁস করেছেন, তিন বছর আগে ২০২১ সালে তাঁকে আত্মঘাতী বোমার সাহায্য প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যখন তিনি ঐতিহাসিক সফরে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ইরাক সফরে গিয়ে ছিলেন। পোপ হিসাবে ইরাকে সেটাই ছিল প্রথম সফর। তবে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সফর ছিল সেটি। তাঁর ১১ বছর পোপ হিসাবে বিদেশ সফর হিসাবে। সেখানে যে কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিলেন সেটা বানচাল করতে এবং প্রাণে মেরে ফেলতে দু’জন পরিচিত সুইসাইড বোম্বার এমন পরিকল্পনা করেছিলেন বলে বাগদাদে নেমে পুলিশকে জানিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।
আরও পড়ুন: নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের জন্য বড় সহায়তা রাজ্য সরকারের, ঘোষণা করলেন মন্ত্রী
এখানেই শেষ নয়, একজন মহিলাকে বোমা দিয়ে মুড়ে পাঠানো হয়েছিল পোপকে খতম করতে বলে দাবি তাঁর। তখন পোপের ভ্যান দ্রুত গতিতে অনুষ্ঠানস্থলে যাচ্ছিল। তখনই এমন ছক করা হয়। এই বিষয়ে পোপ ফ্রান্সিস তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘একজন মহিলাকে বোমা দিয়ে মুড়ে পাঠানো হয়েছিল। পাপাল যাওয়ার সময় যাতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কিন্তু ভ্যান দ্রুত চলছিল। মোসুল যাওয়ার পথেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই শহর ছিল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অধীনে। সেখানে পোপ শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই গিয়েছিলেন।
এছাড়া এই প্রাণনাশের বিষয়টি ব্রিটিশ গোয়েন্দারা জানতে পেরে তা ভাটিকান সিটিকে জানিয়েছিলেন। তবে তখন তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইরাকের পুলিশকে তা জানানো হলে নিরাপত্তা আঁটসাঁটো করা হয়। পোপের নিরাপত্তা নিয়ে তখন চিন্তিত ছিল ভাটিকান সিটি। যদিও সে যাত্রায় বেঁচে ফেরেন পোপ ফ্রান্সিস। এবার সেই কথাই তুলে ধরেছেন নিজের আত্মজীবনীতে। যা প্রকাশ্যে আসায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনাটি।