১ : ৫ অনুপাতে স্টক বিভাজন বা শেয়ারের উপ-বিভাজনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে পরিচালন কমিটি। বৃহস্পতিবার ত্রৈমাসিকের আয় ঘোষণার সময়ে এমনটাই জানাল IRCTC । অর্থাত্ যদি প্রতি ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর শেয়ারকে ৫টি ইক্যুইটি শেয়ারে ভাগ করা হয়, তবে প্রতিটির দাম দাঁড়াবে ২ টাকা করে।
এবার এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য রেল মন্ত্রক, শেয়ার হোল্ডার এবং অন্যান্য ছাড়পত্রের জন্য পাঠাবে আইআরসিটিসি।
বৃহস্পতিবার বিএসই-তে আইআরসিটিসির শেয়ার সর্বাধিক ২,৭২৭ টাকায় পৌঁছোয়। এক লাফে ৫% বাড়ে দর। আইআরসিটিসি-র আইপিও-র সময়ে প্রতি শেয়ারের দাম ছিল প্রায় ৩২০ টাকা। ফলে সেই সময়ে যাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা এখনও পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখলে বেশ ভালই মুনাফা করবেন।
আইআরসিটিসি জানিয়েছে, শেয়ার বিভাজনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, এর ফলে ক্যাপিটাল বাজারে লিকুইডিটি বৃদ্ধি পাবে। শেয়ারহোল্ডারদের বেস বাড়বে। এর পাশাপাশি শেয়ার ভেঙে গিয়ে ছোট হয়ে গেলে দামও কম হবে। ফলে ক্ষুদ্র, স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীরাও এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
শেয়ার বিভাজনের মাধ্যমে কোনও সংস্থার শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে ভাগ হয় বলে সেই অনুপাতে প্রতিটি শেয়ারের দামও হ্রাস পায়। কিন্তু মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে তাতে কোনও প্রভাব পড়ে না। কিন্তু এর মাধ্যমে আরও বেশি বিনিয়োগকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে কোনও সংস্থা।