বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > IRCTC-র পাঁচশোর বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত

IRCTC-র পাঁচশোর বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত

বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সমস্ত কর্মীর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। তাই একমাসের নোটিশ সাপেক্ষে তাঁদের চুক্তি বাতিল করা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআরসিটিসি।

প্রথমে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে তা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন IRCTC-র মুখপাত্র।

পাঁচশোর বেশি কর্মীর চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল আইআরসিটিসি। তবে পরে সেই সিদ্ধান্ত আগামী ঘোষণা পর্যন্ত স্ৎথগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র। 

গত ২৫ জুন তারিখে রেলের প্রতিটি জোনে পাঠানো চিঠিতে আইআরসিটিসি জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সমস্ত কর্মীর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। তাই একমাসের নোটিশ সাপেক্ষে তাঁদের চুক্তি বাতিল করা হবে। চিঠির একটি কপি হিন্দুস্তান টাইমস-এর হাতে এসেছে।

জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে চুক্তির ভিত্তিতে হস্পিট্যালিটি বিভাগে ৫৬০ জন সুপারভাইজার নিয়োগ করেছিল আইআরসিটিসি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে দেশব্যাপী লকডাউন আরোপ করার পরে রেলের যাত্রী পরিষেবা ব্যবস্থায় বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এর জেরে রেলের অতিথি আপ্যায়ন ও সফরকারীদের বিবিধ পরিষেবা বহুলাংশে সঙ্কুচিত হয়েছে। সেই কারণে ওই সমস্ত বিভাগে বহাল কর্মীদের হাতে কাজ নেই। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তটি আপাতত রেল বোর্ডের বিবেচনাধীন, জানিয়েছেন এক আইআরসিটিসি মুখপাত্র। সেই কারণে আপাতত এই নির্দেশ স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জাবিয়েছেন তিনি।

এ দিকে চুক্তিপত্র বাতিলের চিঠি পাওয়া প্রাক্তন আইআরসিটিসি কর্মীরা রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন। 

বিকি সাহনি নামে এক ছাঁটাই হওয়া কর্মী রেলমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমাদের চাকরির কী হবে? আমরা কি মানুষ নই অথবা আমাদের উপর নির্ভরশীল পরিবার নেই? আমাদের, ৫০০ এর বেশি সুপারভাইজারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি সম্পাদন করেছিল আইআরসিটিসি। কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হতেই আমাদের ছাঁটাই করা হল।’

আর এক প্রাক্তন কর্মী গোয়েলের উদ্দেশে টুইট করেছেন, ‘স্যার, হস্পিট্যালিটি সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখন আইআরসিটিসি ভারতে সমস্ত সুপারভাইজারকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, এর ফলে আমরা একন বেকার হয়ে যাব। পরিবার আমাদের উপরে নির্ভরশীল। দয়া করে এর বিহিত করুন, স্যার। কৃতজ্ঞ থাকব, স্যার।’

আইআরসিটিসিৃর সুপারভাইজারদের প্রধান কাজ ট্রেনের প্যান্ট্রি কারের কাজ তদারকি করা। এর মধ্যে রয়েছে খাবার রান্না করা, খাবারের মান পরীক্ষা করা, যাত্রী পরিষেবা এবং যাত্রীদের অভিযোগের মোকাবিলা করা।

গত ২২ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস প্রকোপের জেরে আরোপিত দেশব্যাপী আন্দোলনে ভারতে নিয়মিত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মাত্র ২৩০টি স্পেশ্যাল যাত্রীবাহী ট্রেন চালু রয়েছে।

বন্ধ করুন