এর আগে স্বাস্থ্য বিমা কেনার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত নিয়মে বড় বদল এনেছিল বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআই। বৃদ্ধদের সুবিধার্থেই সেই নিয়ম চালু হয়েছিল। গত ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হয়েছিল সেই নয়া বিধি। আর এবার ২০২৫ সালে বাজেটের আগে আরও এক নয়া নিয়ম চালু করা হল। এবারও বৃদ্ধদের কথা ভেবেই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আইআরডিএআই-এর নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে প্রবীণ নাগরিকদের স্বস্থ্য বিমার প্রিমিয়ায় বছরে ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না। এর আগে দেখা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই সিনিয়র সিটিজেনদের স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম চড়া হারে বৃদ্ধি করা হত। এমনকী কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ১০০ শতাংশ হারে বাড়ানো হত। যা খুবই উদ্বেগের ছিল। এই নিয়ে আইআরডিএআই বলেছে, এবার থেকে কোনও প্রবীণ নাগরিকের প্রিমিয়াম যদি ১০ শতাংশের বেশি বাড়াতে হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিমা প্রদানকারী সংস্থাকে আইআরডিএআই-এর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
এদিকে নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে চালু করা কোনও স্বাস্থ্য বিমা পরিষেবা বন্ধ করতে হলেও আগে আইআরডিএআই-এর অনুমতি নিতে হবে। এর আগে গত ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল আইআরডিএআই নিয়ম এনে বলেছিল, স্বাস্থ্য বিমা কেনার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়া হল। এই আবহে বর্তমানে ৬৫ বছর বয়সির ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরাও স্বাস্থ্য বিমা পলিসি কিনতে পারবেন। এর আগে এই সুযোগ ছিল না। নির্দেশিকায় সরাসরি বৃদ্ধদের কথা উল্লেখ না করা হলেও বলা হয়েছে, সমস্ত বয়সের মানুষের কাছে যাতে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পৌঁছয় তা বিমা সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগে থেকে কোনও কঠিন রোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিমার সুবিধার বাইরে রাখা যাবে না। এদিকে হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, থায়রয়েড, হাঁটুর সমস্যার মতো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়ার জন্যে পলিসিধারকদের স্বাস্থ্য বিমা নেওয়ার পরে চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত এতদিন। অর্থাৎ, পলিসি নেওয়ার আগে থেকে যদি এই সব রোগ পলিসিধারকের থেকে থাকে, তাহলে পলিসি নেওয়ার পর চার বছর পর্যন্ত এই সব রোগের চিকিৎসায় কোনও সুবিধা পেতেন না রোগীরা। তবে এবার এই নিয়মে কিছু পরিবর্তন আসছে। এদিকে এই সব রোগের চিকিৎসার জন্যে সুবিধ পাওয়ার ক্ষেত্রে 'ওয়েটিং পিরিয়ড' ৪৮ মাস থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ মাস করা হচ্ছে। অর্থাৎ, এবার থেকে পলিসি নেওয়ার তিন বছর পরই এই সব রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে। অবশ্য, কোনও বিমা সংস্থা যদি চায়, তাহলে পলিসিধারকদের পলিসি নেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেও এই সব রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করতে পারবে। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ সময়সীমা বেঁধে দিলেও সর্বনিম্ন কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়নি আইআরডিএআই। এই আবহে পলিসিধারকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।