অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্রিটিশ ও আমেরিকান সেনা জওয়ানদের ওপর হামলা করার। এককালে মিশরের সেনায় নিজেও ছিল সে। আর এই প্রাক্তন মিশরীয় সেনা জওয়ান আল আদেলই সম্ভবত জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার তখতে পরবর্তী সময়ে বসতে চলেছে।
১৯৮০ সালে মকতব আল খিদমতের মতো উগ্রপন্থী সংগঠনে প্রথমবার পা রাখে আদেল। ইজিপশিয়ান ইসলামিক জেহাদ সংগঠনেও ছিল তার নাম। পরবর্তীকালে তার সঙ্গে দেখা হয় আল কায়দার তৎকালীন প্রধান ওসামা বিন লাদেন ও পরবর্তীতে আয়মন আল জওয়াহিরির। সদ্য আফগানিস্তানে আয়মন অল জওয়াহিরির মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। আর তা নিশ্চিত হয়েছে। এরপর আল কায়দার তখতে ৬০ বছর বয়সী আদেলের বসার সম্ভবনা উঠে আসছে। ৩০ বছর বয়সে আদেল দেখেছিল ‘ব্ল্যাক হক ডন’ এর মতো যুদ্ধ সংহার পর্ব। যেখানে নৃশংসভাবে মার্কিনি সেনা জওয়ানদের হত্যা করা হয়েছিল। জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদায় নাম লেখানোর পর থেকে ধীরে ধীরে ২০১১ সালে লাদেরে মৃত্যুর পর সংগঠনে গুরুত্ব বাড়তে থাকেআল আদেলের। মূলত জঙ্গি সেলের অন্যতম স্ট্র্যাটেজিস্ট হয়ে ওঠে সে।
জানা গিয়েছে, গত ১৯ বছর ধরে আদেল রয়েছে ইরানে। ২০০৩ সালে একবার ইরানের রাষ্ট্রদূতকে আদেলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় যে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে নাকি সে ইরানে মুক্ত অবস্থাতেই রয়েছে? মুখ খুলতে চাননি ইরানের রাষ্ট্রদূত। তিনি শুধু জানিয়েছিলেন যে, জঙ্গিদের একাধিক পাসপোর্ট থাকে। ফলে কে কোন পরিচিতি নিয়ে ইরানে প্রবেশ করছে তা সঠিকভাবে বলা কঠিন। মনে করা হচ্ছে যে, ইরানে আদেলের অবস্থানই শুধু একমাত্র বাধা হতে পারে তার আল কায়েদার তখতে বসার ক্ষেত্রে। 'আমরা মোদীর ভ্যাকসিনের জন্য বেঁচে গিয়েছি', বিহারের মন্ত্রী আরও যা বললেন
একমাত্র অবস্থানগত দূরত্বের কারণই শুধু আল আদেলের পথের কাঁটা হতে পারে আল কায়েদার তখতে বসার থেকে। জানা যাচ্ছে যে আল আদেলের আসল নাম মহম্মদ সালাহ আল দিন জাইদান। এই নামের অর্থ হল , ন্যায়ের তলোয়ার। জানা যায়, আল কায়দার চিরাচরিত ভাবনার থেকে অনেকটাই আলাদা আল আদেলের চিন্তাভাবনা। সে 9/১১ এর টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার মতো ঘটনায় বিশ্বাসী নয়। সে যুদ্ধ প্রশিক্ষণে এর থেকে বেশি বিশ্বাসী। জানা যায়, জঙ্গিদের যুদ্ধ প্রশিক্ষণের সময়, রাতে তাদের অপহরণ করে বেধড়ক মারধর করার হুকুম দিত আল আদেল। এরফলে যাতে জঙ্গিরা প্রশিক্ষণে খুবই চোস্ত হয়, তাই লক্ষ্য ছিল আদেলের। এবার অপেক্ষা, এমন এক ব্যক্তিত্বকে কি আদৌ আল কায়দা তখতে বসাতে চলেছে?