এখনও পর্যন্ত কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড, এই দুটি ভ্যাকসিনই ভারতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু এই দুই ভ্যাকসিনের মধ্যে তুলনামূলক বিচারে কোভিশিল্ডই বেশি করোনা প্রতিরোধে সক্ষম। করোনার টিকা প্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ইনডিউসড অ্যান্টিবডি ট্রিটে বা কোভাডের গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ড নেওয়ার পর অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডির ওপর সেরো পজিটিভিটি রেট অনেক বেশি। যদিও গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুটি ভ্যাকসিনই দুটি করে ডোজ নেওয়ার পর করোনা প্রতিরোধে ভালো ফল বেরিয়েছে। মোট ৫৫২ জন স্বাস্থ্য কর্মীর ওপর এই গবেষণাটি করা হয়। এই ৫৫২ জনের মধ্যে ৩২৫ জন পুরুষ ও ২২৭ জন মহিলা। এদের মধ্যে ৪৫৬ জন কোভিশিল্ড ও ৯৬ জন কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৯ শতাংশের দেহে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সেরোপজিটিভিটি দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে কোভিশিল্ডের মধ্যে এই হার ৮৬.৮ শতাংশ। অন্যদিকে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এই হার অনেকটাই কম, ৪৩.৮ শতাংশ।যদিও এই গবেষণার ওপর এখনও সিলমোহর পড়েনি।
শুধু কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনই নয়, এরসঙ্গে স্পুটনিক ভি–ও এবার ভারতে জরুরিভিত্তিতে দেওয়া শুরু হচ্ছে।এই স্পুটনিক ভি দেওয়া শুরু হলে দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।ই তিমধ্যে এই রাজ্যেও স্পুটনিক ভি–এর ডোজ আসতে শুরু করেছে ।রাজ্যের মানুষকেও এবার স্পুটনিক ভি দেওয়া হবে।