ধর্ষণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এবার তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ আদালত। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, কোনও নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার সময় বীর্য পাওয়া না গেলে তার মানে এটা নয় যে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়নি বা তাঁর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানো হয়নি।
বিচারপতি সি মানবেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, পকসো অ্যাক্ট অনুসারে বীর্যের নমুনা পাওয়াটা ধর্ষণ বলে প্রমাণিত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এমনটা নয়।
রায়দানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, বীর্যপাত ছাড়াই যদি এটা তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় যে লিঙ্গ প্রবেশ করা হয়েছিল, কোনও বস্তু প্রবেশ করা হয়েছিল, অভিযুক্তের শরীরের কোনও অংশ প্রবেশ করা হয়েছিল ওই নাবালিকার যোনির মধ্যে তবে এটিকে কিছু প্রবেশ করিয়ে ধর্ষণের অপরাধ বলে উল্লেখ করা হবে।
এক ব্যক্তি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চতর আদালতে গিয়েছিল।
সেশন জাজ তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা করেছিল।
এদিকে ঘটনাটা হয়েছিল যখন ওই শিশুটি তার দিদি সহ অন্যান্যদের সঙ্গে খেলছিল। সেই সময় বাড়ির পেছন থেকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাটিকে বাড়িতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে স্কার্টটি তুলে ফেলে। এরপর তার উপর শুয়ে পড়ে। এরপর ঘটনার খবর পেয়ে শিশুটির মা ছুটে আসেন ওই বাড়িতে। তারা এসে দেখেন ওই লোকটা তাঁর বাচ্চার উপর শুয়ে রয়েছে। তিনি চিৎকার করে উঠলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাচ্চাটিকে ফেলে দিয়ে পালাতে থাকে।
এদিকে ওই ব্যক্তির আইনজীবী জানান ডাক্তারি পরীক্ষায় বীর্যের কোনও নমুনা মেলেনি। সেক্ষেত্রে এটাকে ধর্ষণ বলে গণ্য করাযাবে না। তাছাড়া মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। অভিযুক্তের দাবি তার সঙ্গে ওই পরিবারের জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। সেকারণে তাকে ফাঁসাতে এই কাণ্ড সাজানো হয়েছে।
তিনি জানিয়েছিলেন মা ও মেয়ের বয়ান ছাড়া আর কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। এদিকে সরকারি আইনজীবীর দাবি, মেয়েটির যোনির হাইমেন ছিঁড়ে গিয়ে রক্তের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। আর কোনও মা তার মেয়ের ধর্ষণের গল্প সাজাতে চাইবেন না।
হাইকোর্ট সব দিক বিবেচনা করে জানিয়েছে, মেয়েটির মায়ের কথা অবিশ্বাস করার কোনও যুক্তি নেই।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup