স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ৮ দিনের জন্য, আর তারপর ফেরা হয়নি প্রায় ৮ মাসের ওপর হয়ে গেল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস ও ব্যারি বুচ উইলমোরকে ঘিরে নানান জল্পনা রয়েছে। এরই মাঝে একটি ছবি সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সুনীতা উইলিয়ামসের চোখ মুখে খুব একটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নেই। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সুনীতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে?
ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামসের স্বাস্থ্য নিয়ে যখন জল্পনা চলছে, তখনই আরও এক খবর বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। সদ্য, ২৩৫ দিনের মিশন শেষ করে পৃথিবীতে নামেন ক্রিউ-৮ এর নভশ্চররা। সেখানের ৪ নভশ্চর ভালোই ছিলেন। তবে আচমকা নাসা তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করায়। ফ্লোরিডার স্থানীয় হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি হন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ চলে। তবে কেন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হল, তা নিয়ে কিছু খোলসা করেনি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। উল্লেখ্য, মহাশূন্যে দীর্ঘদিন ধরে থাকার ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় তা নানান ধরনের শারীরিক ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ফলে বহু সময়ই ওই মিশনের সদস্যরা ফিরে এলে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।
( Lucky Zodiac Signs: ২০২৫ সালে হবে ইচ্ছাপূরণ! শনি আনবেন কর্কট সহ বহু রাশির ভাগ্যে সৌভাগ্যের জোয়ার)
জানা যাচ্ছে, সুনীতাদের উদ্ধারে এলন মাস্কের ড্রাগন ক্যাপসুল তৈরি হচ্ছে। তবে তাঁদের উদ্ধার করতেও এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। নির্ধারিত সময় হল ফেব্রুয়ারি। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সুনীতা খেতে বসেছেন। সেখানে তাঁর মুখে বেশ কিছুটা ক্লান্তির ছাপ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সিয়াটেলের চিকিৎসক বিনয় গুপ্ত, ডেইলি মেল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ছবিতে মনে হচ্ছে ক্লান্তির ছাপ রয়েছে এতটা উচ্চতার 'প্রেশারাইজড কেবিনে' দীর্ঘদিন ধরে থাকার ফলে। ড. গুপ্ত বলছেন, সুনীতার ছবি দেখে মনে হচ্ছে, তাঁর ক্যালোরির সমস্যা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রসিয়ে বসে পিৎজা খাচ্ছেন সুনীতা। সঙ্গে উইলমোরও রয়েছেন। চিকিৎসক গুপ্ত বলছেন,'সুনীতার গাল ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। আর এটা তখনই হয়, যখন পুরো দেহের ওজন কমতে থাকে।'