গত মাসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি দাবি করেছিল জম্মু ও কাশ্মীরে ধাপে ধাপে সংবাদ মাধ্যমের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। এনিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ আবীররঞ্জন বিশ্বাস। তাঁর প্রশ্নের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও সংবাদ মাধ্যমকে দাবিয়ে রাখা হয়নি।
এদিকে কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যম কি আদৌ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে? নানা সময়ই এই প্রশ্ন উঠেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া কাশ্মীরে মিডিয়ার পরিস্থিতি জানতে একটি সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নেয়। গত ৮ মার্চ প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে এনিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় সংশ্লিষ্ট কমিটি।
এদিকে ২০১৭ সালের পর থেকে ঠিক কতজন সাংবাদিকককে উপত্যকায় হেনস্থা করা হয়েছিল এনিয়েও রাজ্যসভায় প্রশ্ন করা হয়েছিল। এনিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৭ সালের পর থেকে মিডিয়ার লোকজনকে অথরিটি কাশ্মীরের কোথাও কোনওরকম হেনস্থা করেনি।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে সরকারি এজেন্সি পেশা না দেখে যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফ্যাক্টি ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টের সঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য মিলছে না। কমিটির দাবি, কাশ্মীরে সাংবাদিকদের হেনস্থা করার দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। আসলে সরকারের লাইনে কাজ না করলেই ভয় দেখানো হয়।