সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অফ উইমেন অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস( প্রিভেনশন, প্রহিবিশন অ্যান্ড রিড্রেসাল অ্যাক্ট ২০১৩। সংক্ষেপে পশ। কোনও মহিলা যদি যৌন হেনস্থার শিকার হন তাহলে তিনি অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। এবার প্রশ্ন দেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি রয়েছে তারা কি এই সিস্টেমকে যথাযথভাবে মেনে চলে? কারণ দলের অভ্যন্তরেও তো এই ধরনের ঘটনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে দল কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে এই অভ্যন্তরীন তদন্ত করে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেই মামলায় পিটিশন অনুসারে একমাত্র সিপিএমের অন্দরেই এই আইন মেনে এই ধরনের অভ্যন্তরীন কমিটি রয়েছে। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে অধিকাংশ দলেই এই আইসিসি নেই। যার জেরে যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের সুযোগ থাকে না। এই মামলায় কেন্দ্রের সঙ্গেই বিজেপি, কংগ্রেস, আপ, সিপিএম, সিপিআই, বিএসপির মতো দলকে যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে মহিলাদের যৌন নির্যাতন নিয়ে নানা সময় নানা অভিযোগ তোলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু তাঁদের দলে কতটা নিয়ম মেনে কাজ করা হয় তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এই সময়ের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনি পাত্র জানিয়েছেন, যে কোনও অভিযোগ পেলে আমরা খতিয়ে দেখি। কোনও মহিলা যদি অভিযোগ করেন তাও খতিয়ে দেখা হয়। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারি অথবা বেসরকারি পেশাগত কর্মস্থলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের একটা মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। রাজনৈতিক দলে শৃঙ্খলারক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে। সেখানে কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হয়। সেকারণেই হয়তো রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্টভাবে এমন ফোরাম তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি।
তবে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে সিপিএমের অন্দরে এমন আইসিসি রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একাধিক ঘটনায় দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে সিপিএমের অভ্যন্তরীন কমিটি এনিয়ে তদন্ত করেছে তার একাধিক নজিরও রয়েছে। কিন্তু বাকিরাও তো নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নানা সময়ে সরব হয়। তারা কেন দলের অন্দরে আইসিসি যথাযথভাবে তৈরি করে না?
একেবারে মোক্ষম বিষয়কে তুলে আনা হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায়। আইনজীবী যোগমায়া এই মামলা করেছেন। তবে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে দলের শীর্ষনেতারাও জানেন না তাঁদের দলে এই ধরনের আইসিসি আদৌ আছে কিনা বা তা কার্যকরী কি না।