তালিবান কাবুল দখল করতেই আফগানিস্তানের পূর্বতন সরকারের মন্ত্রী ও আফগান রাজনীতিবিদরা দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকেই তালিবান আফগানিস্তান দখল করলেও বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি অর্জনের জন্য কাঠখড় পোড়াচ্ছে। এই আবহে তালিবানদের হয়ে ময়দানে নেমেছে পাকিস্তান। বিভিন্ন দেশকে পাকিস্তানই আবেদন জানিয়েছে যাতে তালিবানি সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইসলামাবাদ নিজেরাও স্বীকৃতি দিয়েছে তালিবানি সরকারকে। তবে তাতেও তালিবান স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এই আবহে আফগানিস্তানের পূর্বতন সরকারের সদস্যদের তালিবানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসানোর কূটনৈতিক চাল চালতে চাইছে পাকিস্তান।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পলাতক আফগান রাজনীতিকদের সঙ্গে কথা বলতে এক ঊর্ধ্বতন আইএসআই কর্তাকে তুরস্কে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। সেখানে আইএসআই কর্তা আবদুর রসুল সায়াফ, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সালাহউদ্দিন রব্বানী ও আবদুল রশিদ দোস্তমের মতো ভারত ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, আফগান রাজনীতিবিদদের তালিবানের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেন আইএসআই কর্তা। এই বৈঠক পাকিস্তান নিজেদের দেশে অনুষ্ঠিত করারও প্রস্তাব দিয়েছে। তবে আফগান রাজনীবিদরা সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কী জানিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে তালিবান যখন কাবুল দখল করে তখন তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া সর্ব প্রথম দেশ ছিল পাকিস্তান। এরপর পাকিস্তান তালিবানের সঙ্গে বৈঠকও করে বহুবার। তালিবানের সঙ্গে দেখা করতে আইএসআই প্রধান কাবুল উড়ে গিয়েছিলেন। পঞ্জশীরে নর্দার্ন রেজিস্টেন্সের উপর হামলাও চালায় পাক বাহিনী। স্বঘোষিত কার্যকরী আফগান রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ প্রথম থেকেই তালিবান-পাকিস্তান আঁতাতের অভিযোগ তুলে এসেছেন। এই আবহে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপে পলাতক আফগান রাজনীতিকরা তালিবানের সঙ্গে আলোচনা বসে কিনা, সেই দিকে নজর বিশ্বের।