রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আত্তারির স্ট্রিং আলসুফার সাথে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এই সংগঠনটি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করে। রিয়াজ পাঁচ বছর ধরে আলসুফার জন্য উদয়পুর ও আশপাশের জেলায় কাজ করছিল। গত ৩০ মার্চ পুলিশ চিতোরগড়ের নিম্বাহেরাতে ৩ সন্ত্রাসীর কাছ থেকে ১২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল। জানা গিয়েছিল, জয়পুর ও অন্যান্য জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। এই মামলায় টঙ্কের বাসিন্দা মুজিব কারাগারে রয়েছে। সেই ঘটনার নেপথ্যে আলসুফা যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়। সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত কানহাইয়ার হত্যাকারী রিয়াজ।
প্রসঙ্গত, পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল (পরিবারের দাবি ভুল করে পোস্ট হয়েছিল)। তা নিয়ে গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম দোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাকিস্তান যোগের কথা সামনে এসেছে। অভিযুক্তদের একজন হলেন গউস মহম্মদ। এই গউস মহম্মদের সঙ্গে নাকি রয়েছে পাকিস্তানি যোগ। এমনটাই জানান রাজস্থানের ডিজিপি এমএল লাথার। রাজস্থান পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, গউস মহম্মদ ২০১৪ সালে পাকিস্তান গিয়েছিল। সেখানে সুন্নিদের সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। এই সুন্নি সংগঠনের মুম্বই ও দিল্লিতেও অফিস রয়েছে বলে জানান ডিজিপি। এদিকে ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের তিন সাঙ্গপাঙ্গকেও আটক করা হয়েছে বলে জানান ডিজিপি।