বাংলাদেশে ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে ইসকনের বর্তমানে কোনও যোগ নেই। বাংলাদেশ ইসকনের তরফ থেকে এই বক্তব্য সামনে আসার পর থেকেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পরে সেই বিতর্কের আগুনে জল ঢেলে ইসকনের সদর দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দু এবং ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর পাশেই তারা আছে। আর এবার বাংলাদেশি হিন্দুদের ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ প্রার্থনার ডাক দিল ইসকন। রবিবার, ১ ডিসেম্বর বিশ্বের সব ইসকন মন্দিরে বংলাদেশি হিন্দুদের রক্ষার আবেদন জানিয়ে বিশেষ প্রার্থনা প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হবে। ভক্তদের নিকটবর্তী ইসকন মন্দিরে আসার আহ্বান করা হয়েছে সেদিন। (আরও পড়ুন: ইসকনকে 'উগ্রবাদী' আখ্যা নববর্ষের বিরোধিতা করা নারীবিদ্বেষী হেফাজতে ইসলামের!)
আরও পড়ুন: একদিনে ৪ মন্দিরে হামলা বাংলাদেশে, তবে ভারত নিয়ে 'চিন্তিত' ইউনুসের উপদেষ্টা!
আরও পড়ুন: মমতার মন্ত্রীর উস্কানিতে ভাঙা হয় বীরভূমের মন্দির, দাবি BJP-র, পালটা তোপ দেবাংশুর
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল পরিস্থিতি। (আরও পড়ুন: 'হম দো, হমারা চার' চান সিদ্দিকুল্লা! 'জনসংখ্যা বিন্যাস বদলের ছক', বললেন শুভেন্দু)
আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা বলা হচ্ছে, বিশ্ব মঞ্চে মুখ বাঁচাতে দাবি বাংলাদেশের
আরও পড়ুন: নবীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ, বাংলাদেশে গ্রেফতার হিন্দু নাবালক
এই আবহে আবার সম্প্রতি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করা হয় বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাসপেন্ড হওয়া সেই পড়ুয়া আইন বিভাগের। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের আবহে চট্টগ্রাম উত্তাল। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। জুলাই বিল্পবের ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে অভিযোগ, সাসপেন্ড হওয়া সেই পড়ুয়া নাকি ঘটনার সময় চট্টগ্রাম আদালতের সামনেই ছিলেন। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়ারা নাকি সেই হিন্দু শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছিলেন। সেই আবহে পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার।