ক্যাব থেকে যে দু'জন নেমেছেন, তাঁরা কারা? বিস্ফোরণে কি তাঁদের কোনও যোগ রয়েছে? নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে আপাতত সেই উত্তর হাতড়াচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সূত্র উদ্ধৃত করে এরকম তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
সূত্রের খবর, ওই ক্যাবের চালকের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। যে দু'জন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমেছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজ করা হয়েছে। চালকের বয়ানের ভিত্তিতে দু'জনের স্কেচ আঁকা হচ্ছে। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, বিস্ফোরণস্থলের কাছে একটি আধপোড়া গোলাপি ওড়না এবং একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে সেই চিঠি লেখা ছিল। ১২ গজ মতো দূরে সেই চিঠিটি মিলেছে। আপাতত আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংগ্রহ করা হচ্ছে। চিঠির বয়ানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে বিস্ফোরণস্থলের একটি গাছের পিছন থেকে লুকানো ক্যামেরা পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এএনআই।
শুক্রবার বিকেলে দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে মুদৃ আইইডি বিস্ফোরণ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তিনটি গাড়ির কাঁচ। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর না মিললেও রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। বিশেষত যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে মেরেকেটে দু'কিলোমিটার দূরে ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’ (প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান) চলছিল। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
দিল্লি পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে। তার জেরে বিস্ফোরণস্থলে ছোটো গর্ত তৈরি হয়েছে। আরডিএক্স ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণের অভিঘাত আরও বেশি হতে পারত। সূত্রের খবর, বড়সড় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই বিস্ফোরণের ঘটনা হতে পারে। তারইমধ্যে শনিবার সকালে বিস্ফোরণস্থলে এসেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের একটি দল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণস্থল।