একদিকে সরকার পতনের আশঙ্কা। অন্যদিকে গাজায় বন্দি থাকা ইজরায়েলিদের পরিবার সদস্যের আর্তনাদ। এরই মাঝে এখন আটকে আছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই আবহে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ক্যাবিনেট ভোটাভুটি স্থগিত রাখলেন। এই সবের মাঝেই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, 'সোমবার আমার শপথগ্রহণের আগে যেন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়...' এই সবের মাঝে ইজরায়েলের বিরোধী দলনেতা ইয়াইর ল্যাপিড বলেন, 'ভয় পাবেন না। তবে বন্দি মুক্তির চুক্তির ওপরে নজর দিন।' (আরও পড়ুন: 'ইতিবাচক পদক্ষেপ,তবে অধ্যায় শেষ হয়নি', পান্নুনকাণ্ডে ভারতকে বার্তা মার্কিন দূতের)
আরও পড়ুন: কেন ডিএ বাড়ছে না রাজ্য সরকারি কর্মীদের? অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণার পরই এল 'জবাব'
উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী তথা নেতানিয়াহুর জোটসঙ্গী ইটামার বেন গভির নেতানিয়াহুর সঙ্গ ত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। তিনি এই চুক্তির বিপক্ষে। এদিকে নেতানিয়াহুর জোটে থাকা অপর এক কট্টরপন্থী নেতা তথা বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, ‘যুদ্ধিরতির প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পরই যদি ইজরায়েল ফের যুদ্ধে না ফেরে এবং সব বন্দিকে ফিরিয়ে না আনা যায় তাহলে সরকারে থাকব না।’ উল্লেখ্য, স্মোট্রিচ এবং গভির যদি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইজরায়েলিদের পরিবার সদস্যরা নেতানিয়াহুর কাছে আর্তি জানিয়েছেন যাতে যত জলদি সম্ভব এই যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়া হয় এবং আটক ইজরায়েলিদের ঘরে ফেরানো হয়। (আরও পড়ুন: 'তুমি ক্রিমিনাল…', মার্কিন বিদেশ সচিবের সামনে থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হল সাংবদিককে)
আরও পড়ুন: 'মোদীতে নিজেকে দেখতে পান ট্রাম্প…', আর কী কী ভাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি যাতে শীঘ্রই কার্যকর করা হয়, এর জন্যে ট্রাম্পের দ্বারস্থ হয়েছেন গাজায় বন্দি ইজরায়েলিদের পরিবার সদস্যরা। এই আবহে ট্রাম্প বলেন, 'আমরা এই যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়েছি। এবং আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে যেন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। আমরা হাত মিলিয়েছি। আমরা চুক্তিপত্রে সই করেছি। তাই এটা যাতে হয়ে যায়।'
এই সবের মাঝেই আবার গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ঘোষণার পর ইজরায়েলি বায়ুসেনার হামলায় গাজায় আরও অন্তত ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে জেরুসালেমে যুদ্ধবিরতি বিরোধীরা পথে নেমেছেন। এই আবহে তিন প্রতিাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে প্রতিবাদীরা রাস্তার ধারে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। এর আগে কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার পরে এই যুদ্ধবিরতির জন্যে ইজরায়েল এবং হামাসকে রাজি করানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ জানুয়ারি থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ৬ সপ্তাহ এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
যুদ্ধবিরতির সময় দুই পক্ষই বন্দিদের ছেড়ে দেবে। এদিকে হামাসের তরফ থেকে অপহৃতদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। অপরদিকে গাজায় যেখানে সাধারণ মানুষের বাস, সেখান থেকে ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার করবে। অপরদিকে ত্রাণ অভিযানে ইজরায়েল বাধা সৃষ্টি করবে না। উল্লেখ্য, এখনও গাজায় প্রায় ১০০ জন ইজরায়েলি বন্দি আছে হামাসের হাতে। যদিও তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।