শনিবার ভোর রাতে ইরানের বুকে পর পর সেনা ছাউনি টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। দুই দিন আগে ইজরায়েলে হানা দিয়েছিল ইরান। এরপরই শনিবার ভোররাতের হামলা। এই হামলায় ইরানের ২ সৈনিক মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে তেহরান। এদিকে, জানা যাচ্ছে, ইরানের মধ্যে ২০ টি জায়গা টার্গেট করে ১০০ বিমান নিয়ে হানা দেয় ইজরায়েল। ঘটনার দিন মধ্য প্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রক্রিয়া দেয় ভারত। এদিনে, ইরানে ইজরায়েলের হামলা নিয়ে সরব হয়েছে পাকিস্তানও।
ভারতের তরফে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে,' পশ্চিম এশিয়ার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং এই অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এর প্রভাব নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সংযম প্রদর্শন এবংআলোচনা ও কূটনীতির পথে ফিরে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের আহ্বান জানাচ্ছি।' বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ চলমান শত্রুতা কারোরই উপকারে আসবে না, এমনকি নিরীহ পণবন্দি এবং সাধারণ জনগণের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে। এই অঞ্চলে আমাদের মিশনগুলি ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করছে।’ উল্লেখ্য, ইজরায়েল আজ তার ফিফ্থ জেনারেশন F-35 আদির যুদ্ধবিমান, F-16I সুফা এয়ার ডিফেন্স নিয়ে ইরানকে টার্গেট করে। এই দুই যুদ্ধবিমানই ২০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। এই সামগ্রী নিয়েই শনিবারের ভোর রাতে ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল।
এপির রিপোর্ট অনুযায়ী ইরান দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা শিবির ইজরায়েলের হানা প্রতিহত করেছে। ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা ‘নির্দিষ্ট’ বলে দাবি করা হয়েছে। তেহরানের বিদেশমন্ত্রক বলছে, ইরানের যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে প্রতিরক্ষার। তবে ‘আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য নিজের দায়িত্ব বোঝে ইরান’ বলে জানিয়েছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী।
এদিকে, পাকিস্তানের তরফেও এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে,'ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করছে পাকিস্তান। এই হামলাগুলি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথকে ক্ষুণ্ন করে এবং ইতিমধ্যেই অস্থির অঞ্চলে একটি বিপজ্জনক বৃদ্ধিও তৈরি করে।' ইসলামাবাদ বলছে, ‘আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে এবং এই অঞ্চলে ইজরায়েলের বেপরোয়া ও অপরাধমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’