পেগাসাস নিয়ে তদন্ত করার জন্য় ইতিমধ্যেই একজন প্রাক্তন বিচাপতির তত্ত্ববধানে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে তারপরই সেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলোন। তবে ভারতের অভ্যন্তরীন কোনও বিষয় নিয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি। ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, এনএসও একটি বেসরকারি ইজরায়েলি কোম্পানি। আমি অতীতে তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। এনএসও বা এই ধরনের কোম্পানি কোনও কিছু রপ্তানি করতে চাইলে ইজরায়েলি সরকারের এক্সপোর্ট লাইসেন্স দরকার লাগে। তবে কেবলমাত্র সরকারের কাছে এক্সপোর্ট করার জন্য়ই এই ধরনের এক্সপোর্ট লাইসেন্স আমরা দিয়ে থাকি। পেগাসাস ইস্যুতে প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানিয়েছেন।
ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আরও জানিয়েছেন যে, একমাত্র শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে তারা কখনও বেসরকারি ক্ষেত্রে এটি বিক্রি করতে পারবে না। তবে ভারতের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সেটা তাদের দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। তাদের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কি তবে ভারত সরকারকে বেচেছিল এনএসও? এই প্রশ্নটাই তুলছেন বিরোধীরা। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বুধবারই জানিয়েছে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার কোথাও খর্ব হয়েছে কি না সেটাও দেখা দরকার। ভারতীয় নাগরিকদের উপর আড়ি পাতার জন্য বিদেশি এজেন্সির ভূমিকাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।