গগনযান অভিযানের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ইসরো। এই অভিযানের যন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 'মানববিহীন ক্রু মডিউলটি' সম্প্রতি উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর লিকুইড প্রোপালশান সিস্টেম সেন্টার থেকে এই মডিউলটি পাঠানো হয় শ্রীহরিকোটার সীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। জানা গিয়েছে, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে এই ক্রু মডিউলের 'আপরাইটিং সিস্টেম' ডিজাইন করা হয়েছিল। এদিকে এই ক্রু মডিউল প্রোপালশান সিস্টেমে 'বাই-প্রোপেল্যান্ট রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম' আছে। এই সিস্টেমের ফলেই ক্রু মডিউলটি ত্রিঅক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এই প্রোপালশান সিস্টেমে ১২টি থ্রাস্টার থাকবে। যার এক একটি থেকে ১০০ নিউটন ফ্রাস্ট নিঃস্বরণ হবে। (আরও পড়ুন: গড়ে উঠবে নতুন ২ কারখানা, কয়েক কোটির বিনিয়োগ হবে হলদিয়ায়)
আরও পড়ুন: ঠিক কখন মৃত্যু হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের? সঞ্জয় রায় কি আদৌ সেই সময় আরজি করে ছিল?
আরও পড়ুন: বন্দে ভারত ছুটল কাশ্মীরে, পথে পড়বে অঞ্জি খাদ ও চেনাব রেল ব্রিজ, দেখুন ভিডিয়ো
এদিকে এই ক্রু মডিউলে এখনও 'অ্যাসেম্বলি' বাকি আছে। এতে এভিয়োনিক্স ইনস্টলেশন হবে। ইলেকট্রিকাল হারনেসিং হবে। এরপর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালানো হবে। তারপর এই মডিউলকে বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে পাঠানো হবে। শেষ পর্যায়ে এই ক্রু মডিউলটিকে অর্বিটাল মডিউলের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ হবে। উল্লেখ্য, প্রথমে কোনও ক্রু ছাড়াই গগনযান অভিযান পরিচালনা করবে ইসরো। সেই অভিযানের জন্যেই এই মডিউল তৈরি করা হচ্ছে। মহাকাশে ইসরোর মানব অভিযানের জন্যেই এই মানববিহীন অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই আবহে মানব অভিযানে মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো। (আরও পড়ুন: শীর্ষে ওড়িশা, আর্থিক স্বাস্থ্যের নিরিখে নীচের সারিতে বাংলা: নীতি আয়োগ)
আরও পড়ুন: BGB প্রধানের ভারত সফর ইস্যুতে 'ঝড়' বাংলাদেশে? মুখ খুলল সীমান্তরক্ষী বাহিনী
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ছিল খলিস্তানি জঙ্গি নেতা পান্নুন, যা দেখে ভারত বলল...
এদিকে গগনযানের মানব মিশনের প্রস্তুতি হিসেবে সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় নৌসেনার সহায়তায় সদ্য ‘ওয়েলডেক’ রিকভারি ট্রায়াল চালায় ইসরো। নৌসেনার ইস্টার্ন কমান্ডের একটি ওয়েল ডেক জাহাজ থেকে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ইসরো গগনযানের ক্রু মডিউল উৎক্ষেপণ করেছিল। পরীক্ষামূলক যানটি মহাকাশচারীদের জন্য তৈরি ক্রু মডিউলটি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল আকাশে। ক্রু মডিউল নিয়ে রকেটটি উপরে যায়। শ্রীহরিকোটা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ১৭ কিলোমিটার উচ্চতায় ক্রু এস্কেপ সিস্টেম এবং ক্রু মডিউল চালু হয়। তারপরেই খুলে যায় প্যারাস্যুট। এটি নিরাপদে বঙ্গোপসাগরে অবতরণ করে। প্রসঙ্গত, গগনযান মিশনে মহাকাশচারীদের ৪০০ কিলোমিটারের কম পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং তারপরে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।