সফলভাবে কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ‘সিএমএস-০১’ উৎক্ষেপণ করল ভারত। যে কৃত্রিম উপগ্রহ ২০১১ সালে উৎক্ষেপিত ‘জিস্যাট-১২’-এর পরিবর্তে কাজ শুরু করবে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (ইসরো) তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে ৪১ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড থেকে কৃত্রির উপগ্রহের উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ভারতের সবথেকে আধুনিক রকেট ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’-র (পিএসএলভি-সি৫০) পিঠে চাপিয়ে সেই উপগ্রহটি পাঠিয়েছে ইসরো। যা ইতিমধ্যে সফলভাবে কক্ষপথ প্রতিস্থাপিত হয়েছে। চারদিন পর উপগ্রহের ‘লিক্যুইড অ্যাপোজি মোটর’ (ইঞ্জিন) চালু হবে। তারপর কয়েক পাক ঘোরার পর ৩৬,০০০ কিলোমিটারের একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে উপগ্রহটি প্রতিস্থাপিত হবে। যা সাত বছরের বেশি সময় কাজ করবে।
ইনস্যাট এবং জিস্যাটের পর নয়া ধরনের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মধ্যে প্রথমটি হল ‘সিএমএস-০১’। ভারত, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপে পরিষেবা দেবে সেই নয়া কৃত্রিম উপগ্রহ। তার ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। ই-লার্নিং, টেলিমেডিসিন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা মিলবে।
চলতি বছর এটি ইসরোর দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় পিছিয়ে গিয়েছে সূর্য মিশন এনং গগনযান মিশন-সহ অধিকাংশ বড় অভিযান। মহামারীর আগে চলতি বছর মাত্র একটি উপগ্রহের মিশন সম্পূর্ণ করতে পেরেছিল ইসরো। গত জানুয়ারিতে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে ‘জিস্যাট-৩০’-এর উৎক্ষেপণ করেছিল আরিয়ানেস্পেস। এবারও বাধা এসেছিল। খারাপ আবহাওয়ার জন্য পিএসএলভি-সি৫০ সিএমএস-০১-এর উৎক্ষেপণও পিছিয়ে গিয়েছিল। মহামারীর পর ইসরোর প্রথম অভিযানের ঠিক এক মাস পরে অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর তা উৎক্ষেপণের কথা ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার তা হয়েছে।
সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরোর প্রধান কে শিভান জানান, একেবারে নিখুঁতভাবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘সিএমএস-০১’। খুব ভালোভাবে কাজ করছে উপগ্রহ। সোলার প্যানেল চালু হয়ে গিয়েছে। ইসরোর পুরো দলকেও অভিনন্দন জনিয়েছেন তিনি।