২০২২ সালের শুরুতেই আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট EOS-04 উৎক্ষেপণের হাত ধরে শুরু হল ইসরোর আরও এক সাফল্যের অধ্যায়। এই স্যাটেলাইটই ২০২২ সালে ইসরোর প্রথম উৎক্ষেপণ। আর প্রথমেই কার্যত বাজিমাত করে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের এই প্রতিষ্ঠান। এদিন ভোর ৫:৫৯ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় উৎক্ষেপণ হয় এই স্যাটেলাইটের।এই উৎক্ষেপণের সাফল্যকে কেন্দ্র করে,পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল ও ইওএস০৪ এর হাত ধরে এবার
পৃথিবীর উপর নজরদারি সংক্রান্ত ও তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত আরও একধাপ এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনের উৎক্ষেপণে ডেমনস্ট্রেটার স্যাটেলাইট আইএনএস টুবি নামের দুটি ছোট স্যাটেলাইটও একইসঙ্গে উড়ে গিয়েছে মহাকাশের পথে। সেখানে সৌরমুকুটের তাপমাত্রা ও আয়ন মণ্ডলের গতি পরিমাপ করবে এই স্যাটেলাইগুলি। এই উৎক্ষেপণের ফলে কৃষিকাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য আসবে। মাটির আর্দ্রতা, বৃক্ষরোপণ, বন্যার রূপরেখা ঘিরে একাধিক তথ্য এই স্যাটেলাইটের হাত ধরে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। ভারত ও ভূটানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি প্রযুক্তিতে নির্ভর করে তৈরি স্যাটেলাইটের ১ হাজার ৭১০ কেজি ওজনের লঞ্চ ভেহিক্যাল এদিন উৎক্ষেপণ করা হয় সাফল্যের সঙ্গে। চার পর্বের এই উৎক্ষেপণে অন্যতম অংশ হিসাবে রয়েছে INSPIRESat ও INSAT-2DT। উল্লেখ্য, এদিনের সফল উৎক্ষেপণের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিনন্দন বার্তা জানান ইসরোকে।
তাঁর বার্তাতেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষিকাজের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে এই স্যাটেলাইট। সবুজায়নের ক্ষেত্রে এই স্যাটেলাইট যে বেশ কার্যকরী হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ইসরোর প্রধান এস সোমনাথও জানিয়েছেন পিএসএলভি ৫২ এর সফল উৎক্ষপেণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আজকের উৎক্ষেপণে INSPIRESat স্যাটেলাইটটি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডিয়ান ইনস্টটিউট অফ স্পেস সায়ান্সের হাত ধরে নির্মিত হয়েছে। এবিষয়ে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি অফ অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যান্ড স্পেস ফিজিক্সএর বিভাগ এগিয়ে আসে সাহায্যে।