বহুল প্রত্যাশিত স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট বা স্প্যাডেক্সে সাফল্য পেল ইসরো। এর আগে একাধিকবার এই ডকিংয়ের প্রচেষ্টা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে ১৬ জানুয়ারি অবশেষে ইসরোর দুই স্যাটেলাইট মহাকাশে যুক্ত হল। যদিও এই নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু বলেনি ইসরো। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তরফে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরোর দুটি উপগ্রহ - এসডিএক্স ০১ (চেজার) এবং এসডিএক্স ০২ (টার্গেট) সফল ভাবে যুক্ত হয়েছে মহাকাশে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' বাদ দেওয়ার সুপারিশ কমিশনের)
আরও পড়ুন: বিদায়ী ভাষণে 'মার্কিন অলিগার্কদের' নিয়ে সতর্ক করলেন বাইডেন, নিশানায় কি মাস্ক?
আরও পড়ুন: প্রস্তাব পেশ তো হল, এবার কি? বাংলাদেশ সংস্কারে কত সময় লাগবে ইউনুসের?
উল্লেখ্য, শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরোর ৯৯তম উৎক্ষেপণটি হয়েছিল গত ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সেই অভিযানে পিএসএলভি সি৬০-র মাধ্যমে সফলভাবে দুটি মহাকাশযানকে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সেই উৎক্ষেপণের ফলে মহাকাশে যেই দু'টি স্যাটেলাইট পৌঁছেছে, সেই দু'টির ডকিং প্রক্রিয়াই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল। তবে এখনও সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ইসরো। উল্লেখ্য, প্রাথমিক ভাবে এই ডকিং অভিযানে কিছুটা হোঁচট খেতে হয়েছিল ইসরোকে। তবে এখন সব প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে চলছে বলে দাবি করেছে ইসরো। এর আগে গত ৭ এবং ৯ জানুয়ারি ইসরোর তরফ থেকে দু'বার ডকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেই প্রক্রিয়া পরিত্যাগ করা হয়। এই আবহে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এই অভিযানে হয়ত লক্ষ্য পূরণের আগেই ইসরো হাল ছেড়ে দেবে এবং ডকিংয়ের চেষ্টা করা হবে না। তবে ইসরো হাল ছাড়েনি। (আরও পড়ুন: মন্দিরে ছোট্ট ছেলের সামনে বাবা অমিত শাহের 'বকুনি' শুনলেন জয়! ভাইরাল ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: আগে মিলেছিল ৪.৫ কোটি, ৬০০০ কোটি টাকার সেই জালিয়াতি মামলায় এবার বেহালা-হাওড়ায় ED
ইসরোর পিএসএলভি-সি৬০ মিশনে করে মহাকাশে গিয়েছিল চেজার (এসডিএক্স ০১) এবং টার্গেট (এসডিএক্স ০২) মহাকাশযান। মূলত, মহাকাশে স্পেস ডকিং সংক্রান্ত পরীক্ষা পরিচালনা করতেই চালানো হয়েছে এই মিশন। এর আগে সফল ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কৃতিত্ব রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের। গত ৩০ ডিসেম্বর পূর্বনির্ধারিত সময় ৯টা ৫৮ মিনিটের পরিবর্তে ১০টায় এই রকেটের উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই স্পেস ডকিং প্রযুক্তি আগামীতে মহাকাশে মানব অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্রাভিযানেও এর গুরুত্ব থাকবে। এছাড়াও স্পেস স্টেশন গঠনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এই অভিযান সফল হওয়ায় আগামীতে আরও জটিল ডকিং সিস্টেমের পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা আছে ইসরোর।