স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অপর মহিলার সঙ্গে বসবাস করার বিষয়টি কোনও পুলিশ আধিকারিকের পক্ষে স্বাভাবিক নয়। এদিকে ওই পুলিশ আধিকারিকের প্রাক্তন সঙ্গিনী তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে।
এদিকে ওই পুলিশ আধিকারিকের প্রাক্তন সঙ্গিনী হলেন একজন মহিলা আইনজীবী। রাজ্য সরকার ওই আধিকারিকের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত জানিয়েছেন, ওই বিবাহিত পুলিশ আধিকারিকের অন্য মহিলার সঙ্গে থাকার বিষয়টি স্বাভাবিক নয় তাঁর স্ট্যাটাসের পক্ষে। তবে এটা প্রাসঙ্গিক যে তাঁর দফতর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ শুরু করেছে।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, পুলিশ বিভাগ অফিসারকে তাঁর ব্যবহারের জন্য সাসপেন্ড করতে পারে। আমরা পুলিশ বিভাগকে পরিষ্কারের দায়িত্ব নিইনি। আমরা ওই মহিলাকে রক্ষা করব।
অফিসারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। তবে শর্ত রয়েছে যে তিনি প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ বা অন্য কোনওভাবে ওই মহিলা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না, পানিহাটি বা তিলজলা থানা এলাকায় তিনি যাবেন না। কারণ ওখানে ওই মহিলা থাকেন।
ওই আইনজীবী পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা,মানসিক ও শারীরিক আক্রমণের অভিযোগ তুলে এফআইআর করেছিলেন। তাঁর দাবি, ২০২০ সালে তাঁর ডিভোর্স হয়েছিল। এরপর অফিসার কালীঘাটে ২০২১ সালে তাঁকে বিয়ে করে।এরপর তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি জানতে পারেন যে ওই পুলিশ আধিকারিক আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। ওই মহিলার দাবি গাড়ির ধাক্কা দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। মদ্যপ অবস্থায় এসে তাঁর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক। এদিকে পুলিশ আধিকারিক মানতে চাননি যে তিনি ওই মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন।