অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে নিকাশি ব্যবস্থা নেই। সেজন্যই মরশুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিতেই রামমন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়েছে বলে দাবি করলেন প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের। রীতিমতো উষ্মাপ্রকাশ করে রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত বলেন, 'দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইঞ্জিনিয়াররা রামমন্দির তৈরি করছেন। গত ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু এটা কেউ জানতেন না যে বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়বে। একেবারে অবাক হয়ে যাচ্ছি যে বিশ্বের জনপ্রিয় মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। কেন এটা হবে? এত বড়-বড় ইঞ্জিনিয়াররা যেখানে আছেন, সেখানে যে এরকম ঘটনা ঘটছে, সেটা অত্যন্ত বাজে ব্যাপার।'
অবিলম্বে ছাদ সারাইয়ের নির্দেশ
জানুয়ারিতে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার মধ্যরাতেই প্রথমবার ভারী বৃষ্টি হয়। আর সেই ভারী বৃষ্টিতে রামমন্দিরের গর্ভগৃহ চুঁইয়ে জল পড়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
রামমন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, মন্দিরের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ার বিষয়টি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানানো হয়। তারপরই মন্দিরে চলে আসেন রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। ছাদ সারাই করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। ভবিষ্যতে যাতে কোনওভাবেই জল চুঁইয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান।
গাফিলতির অভিযোগ প্রধান পুরোহিতের
পরে রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত জানান, শনিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির জেরে গর্ভগৃহের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছিল। পুজোর জন্য রামলালার মূর্তির সামনে পুরোহিতরা যেখানে বসেন এবং যেখান দিয়ে ভিআইপিরা দর্শন করেন, সেখানেই জল পড়তে শুরু করেছিল। সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন যে মন্দিরের নির্মাণের ক্ষেত্রে গাফিলতি করা হয়েছে। অবিলম্বে যাতে সারাই করা হয়, সেই আর্জি জানান প্রধান পুরোহিত।
রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি BJP সরকারের, দাবি কংগ্রেসের
কংগ্রেসের অভিযোগ, অযোধ্যায় রামমন্দিরের নির্মাণ এবং অযোধ্যায় পুর পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে বিজেপি সরকার। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই বলেন, ‘শহিদদের কফিন হোক বা ঈশ্বরের জন্য মন্দির হোক- সবকিছুই বিজেপির কাছে দুর্নীতি করার একটা সুযোগ হয়ে উঠেছে। এমনকী দেশের আস্থা এবং বিশুদ্ধতার প্রতীকও নেহাতই লুঠতরাজ চালানোর উপায় হয়ে উঠেছে বিজেপির কাছে।’
সাফাই রামমন্দির কর্তৃপক্ষের
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান জানান যে প্রথম তল থেকে জল চুঁইয়ে পড়তে দেখেছি। এটাই প্রত্যাশিত। কারণ খোলা আকাশের নীচে আছে গুরু মণ্ডপ। 'শিখর' এবং দ্বিতীয় তলের কাজ শেষ হলে ওই ফাঁকা জায়গা ঢাকা পড়ে যায়। নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও গলদ ছিল না।