মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য। ছত্তিশগড়ের উপমুখ্য়মন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, এটাই ইতিহাসে প্রথমবার নকশাল বিরোধী অপারেশন যেখানে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে।
রায়পুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, গত দুদিন ধরেই এই এনকাউন্টার চলেছে। সেটা চলছে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, এবারই প্রথম মাওবাদী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকে এনকাউন্টারে নিকেশ করা হল। মাওবাদী কমান্ডার জয় রামের কাছে প্রায় ১ কোটি টাকা ছিল। ছত্তিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই টাকা তোলা হয়েছিল। এটা একটা বড় সাফল্য।
তিনি জানিয়েছেন, যদি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মারা যান তবে এটা মনে করা হচ্ছে যে ডিভিশনাল কমিটির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই সিনিয়র কমান্ডারের সুরক্ষায় প্রচুর ক্যাডারও ছিলেন। এই মৃতদের মধ্য়ে অনেক ক্যাডারও ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা পুলিশ ও রাজ্যের কাছে বড় সাফল্য।
বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, বিজেপি পরিচালিত সরকার তৈরির পর থেকেই ২৬০জনের উপর মাওবাদীকে নিকেশ করা গিয়েছে। ৮৭০জন আত্মসমর্পণ করেছেন। ১০০০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আন্তঃরাজ্য যৌথ অপারেশন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যেহেতু একাধিক রাজ্যে মাওবাদীদের দাপট রয়েছে।
বিজয় শর্মা মাওবাদীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, আপনারা এগিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করুন। আমাদের সরকারের একজনকেও গুলি করার ইচ্ছে নেই। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের আমরা পুনর্বাসন দেব। তাঁরা অস্ত্র জমা দিন।
বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, আমার পুরো বিশ্বাস রয়েছে যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে সবকিছু আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে। ফের শান্তি ফিরবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইছেন যে দেশ থেকে নকশালদের দূর করতে হবে। যেভাবে উত্তর পূর্ব থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করা হয়েছে। তিনি বলেন, অমিত শাহ ও মুখ্য়মন্ত্রীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ে কেবলমাত্র মাওবাদের অবসান হবে এটাই নয়, গোটা দেশ থেকে সরে যেতে হবে নকশালপন্থীদের।
ছত্তিশগড় পুলিশের ডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া আগেই জানিয়েছিলেন, ওড়িশা, ছত্তিশগড় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) যৌথভাবে মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালায়। সোমবার সকালে এই অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য সীমান্ত এলাকা জুড়ে মাওবাদীদের গতিবিধি ব্যর্থ করা। এই অঞ্চলে তাদের কার্যকলাপ ক্রমে বেড়েই চলেছে। এই অভিযান চলাকালীন প্রথমে গুলির লড়াইয়ে দুই মহিলা মাওবাদী নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া, এক কোবরা জওয়ান আহত হন। সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার ভোরে ছত্তিশগড়-ওড়িশা সীমান্তের ময়নপুর থানার অন্তর্গত একটি জঙ্গলে নতুন করে গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতেই আরও ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর।