করোনা আবহে পঞ্চায়েত ভোট করাই যে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ, তা পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর মতে, পঞ্চায়েত ভোটের পর গ্রামের পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাবে, তা ধরে নিয়েই সরকারের তরফে সচেতনতা প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত ভোটে গণনার অনুমতি দিলেও সুপ্রিম কোর্ট ভর্ৎসনার সুরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানিয়েছিলেন, গণনা তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেলে আকাশ ভেঙে পড়ত না। এরপরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, ঝুঁকি নিয়ে পঞ্চায়েত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে।
সোমবার এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরই পরিস্থিতি যে খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। ভোট হয়ে যায় ২৯ এপ্রিল। গণনা হয়ে যায় ২–৩ মে। এরপর ৫ মে থেকেই আমরা জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিই। গ্রামে গ্রামে নজরদারি কমিটি পাঠানো হয়েছে। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী সন্দেহভাজনদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। লাগাতার এই প্রচার চলছে।’
ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ‘টিম ৯’ গঠন করেছেন যোগী আদিত্যনাথ।যাতে আরো দ্রুতগতিতে করোনা সংকট মোকাবিলা করা যায়, সেজন্যই এই নতুন টিম গঠন করা হয়েছে। নতুন এই টিমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী থাকবেন।এই টিম মন্ত্রীদের সঙ্গে আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবে।করোনা মোকাবিলায় যারা সবচেয়ে বেশি উপযোগী, তাঁদেরই ওই টিমে রাখা হয়েছে।