আগুন যেখানে লেগেছিল তা ছিল এই হাসপাতালের একমাত্র ঢোকা ও বেরোনোর দরজায়। ফলে মুহূর্তে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রথমে মাটি থেকে ছড়িয়ে যায় আগুন। তারপর একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এদিকে, ঘটনার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। তারপর মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন যে, ঘটনায় ৪ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য উঠে আসতে থাকে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসাপাতালে অগ্নিনির্বাপন নিয়ে নো অবজেকশনের মেয়াদ বহু আগেই ফুরিয়েছিল। তারপর এই হাসপাতাল চলছিল। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, 'জব্বলপুর পুলিশ মামলা দায়ের করেছে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা তথা ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।' জানা গিয়েছে যাঁদের বিরুদ্ধে এই মামলা সেই ৪ জন চিকিৎসক আপাতত ফেরার। তাঁদের খুঁজতে আলাদা করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের একটি দল রওনা হয়েছে। খারগাঁওতে সাম্প্রদায়িক হিংসার মাস্টারমাইন্ড কংগ্রেস কাউন্সিলার-পুত্র
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হাসপাতালে একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। বহু রোগীই সেই আওয়াজের শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে আহত অনেকে জানিয়েছেন। এরপরই জানা যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা। পরবর্তীকালে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবার অভিযুক্তদের বিকুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দাবি করে। এরসঙ্গেই তদন্তে নামে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। মৃতদের পরিবারের তরফে বলা হচ্ছে, এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটেছে, তার কারণ হাসপাতালে কোনও ইমার্জেন্সি গেট ছিল না। যার ফলেই এই ঘটনা ঘটে যায়।