নিউ জিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুগান্তকারী সাফল্যের পরে এবার অতিমারী বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেত্রী।
শনিবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে অকল্যান্ডে সমর্থকদের আরডার্ন বলেন, ‘আগামী তিন বছরে অনেক কাজ করতে হবে। আমরা কোভিড সংকট দূর করার পরে আবার গঠন করব। জনাদেশ আমাদের সেই পুনরুদ্ধারের কাজে সহায়ক হবে।’
মোট ৮৭% গণনায় ৪৯% ভোট পেয়েছে আরডার্নের লেবার পার্টি, যা তিরিশের দশকের পরে রেকর্ড সৃষ্টিকরেছে। অন্য দিকে, প্রতিপক্ষ ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে মাত্র ২৭% ভোট, ২০০২ সালের পরে যা দলের নিকৃষ্টতম ফল।
নিউ জিল্যান্ড রাজনীতির আঙিনায় অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্ব এবং তুখোড় বিপর্যয় মোকাবিলা করার দক্ষতা সম্বল করে শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বছর চল্লিশের কিউয়ি প্রধানমন্ত্রী। কোভিড সংক্রমণের ডানা ছেঁটে ফেলার ব্যাপারে তাঁর সেই দক্ষতা নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধান প্রতিপক্ষ ন্যাশনাল পার্টির নেত্রী জুডিথ কলিন্স পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আরডার্নকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রতিপক্ষের বিপুল জনপ্রিয়তার জোয়ারের মুখে নির্বাচনী প্রচারে দেশের আর্থিক অবনতিকে তুরুপের তাস করেছিলেন কলিন্স। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার পরে নিউ জিল্যান্ডের আর্থিক পরিস্থিতি নিম্নগামী হয়ে পড়লে জ্যাসিন্ডা আরডার্নের নেতৃত্ব নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
এর উপরে, একই বছরে দু’বার নেতৃত্বে পরিবর্তন করায় এবং একগুচ্ছ কেচ্ছায় জড়িয়ে পড়ে লেবার পার্টির বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে আখেরে ছন্দই হারিয়ে ফেলে কলিন্সের দল।
উল্টো দিকে, প্রচারে বেরিয়ে যখন-তখন বিপুল ভক্ত সমাগমের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন আরডার্ন। ২০১৭ সালের পরে নিউ জিল্যান্ডে ফের দেখা গিয়েছে ‘জ্যাসিন্ডা ম্যানিয়া’।