কাজ হারানো কয়েক হাজার টুইটারকর্মীর কাছে ক্ষমা চাইলেন টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি। এক টুইট বার্তায় জ্যাক লেখেন, ‘টুইটারের প্রাক্তন এবং বর্তমানের কর্মীরা শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত। সময় যতই কঠিন হোক না কেন, তারা সবসময় একটি উপায় খুঁজে বের করবেই। আমি বুঝতে পারছি অনেকেই আমার উপর রেগে। সবাই যে এই পরিস্থিতিতে আছে, তার জন্য আমি দায়ী: আমি খুব দ্রুত কোম্পানির আকার এবং কর্মীসংখ্যা বাড়িয়েছিলাম। আমি সেটার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।’ জ্যাক ডরসি আরও একটি টুইটে লেখেন, ‘যারা টুইটারে কাজ করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
কর্মী ছাঁটাই না করার আশ্বাস দিয়েও শুক্রবার একযোগে কয়েক হাজার টুইটার কর্মীকে চাকরি থেকে বের করে দেন ইলন মাস্ক। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে টুইটারে কর্মরত কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াইশো। তবে শুক্রবারের পর সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে ১০-এরও কম। সব কর্মীকেই স্ল্যাক, ল্যাপটপের অ্যাক্সেস থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় একই অবস্থা। এর আগে টুইটারের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সব সদস্যকে ছাঁটাই করেছিলেন মাস্ক। অধিগ্রহণের দিনই পরাগ আগরওয়ালকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছিলেন মাস্ক। শুধু সিইও পরাগকেই নয়, টুইটারের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরি থেকে বের করে দেন মাস্ক।
উল্লেখ্য, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারকে কিনেছেন ইলন মাস্ক। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কেনেন ইলন। টুইটারের বোর্ডেও ইলন যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দিনকয়েক পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন ইলন। তারপর শেয়ারপিছু ৫৪.২ ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার কর্ণধার। সেই দরেই টুইটার কেনা নিয়ে চুক্তি হলেও পরে পিছ পা হন মাস্ক। এই নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে যায় টুইটার। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের মাঝে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। আর টুইটার কেনার এক সপ্তাহের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির ভোল পাল্টাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন মাস্ক।