দেবী জগদ্ধাত্রীকে মনে করা হয় জগতের পালিকা শক্তি। দেবী চতুর্ভূজা। চার হাতে রয়েছে শঙ্খ, চক্র, ধনুক, বাণ। মূলত, চার দেবতার অহংকার ভঙ্গ করতেই দেবীর আবির্ভাব বলে কথিত রয়েছে নানান কাহিনীতে। কথিত রয়েছে, মহিষাসুর বধের পর দেবতারা অহংকারী হয়ে ওঠেন। তা বুঝতে পেরেই দেবী জগদ্ধাত্রী এক পরীক্ষা করেন। তাতে দেবতাদের অহংকারের পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় দেবতারা ব্যর্থ হতেই নিজেদের ভুল বুঝে নেন। সেই থেকে দেবী জগদ্ধাত্রীর শক্তিকে তাঁরা পুজো করেন। এছাড়াও বলা হয়, হস্তিরূপী করীন্দ্রাসুর নামের এক অসুরকে দমন করেন দেবী। আর সেকারণেই দেবীর বাহন সিংহের নিচে থাকে হাতি।
জগদ্ধাত্রী পুজো বলতেই চন্দননগর কিম্বা কৃষ্ণনগরের কথা সকলেরই মনে পড়ে। এই দুই শহরে এই পুজো প্রচলন ঘিরেও নানান কাহিনি বর্ণিত রয়েছে। ২০২৪ সালের জগদ্ধাত্রী পুজোয় আজ মহাষষ্ঠী। এই পুজোর নবমী তিথির আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। দেখা যাক, এই পুজোয় অষ্টমী ও নবমী তিথি কখন থেকে পড়ছে।
জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী তিথি:-
বাংলায় ২২ কার্তিক অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই পড়ছে অষ্টমী তিথি। ইংরেজি ৮ নভেম্বর রাত ১১ টা ১৫ মিনিটে ২০২৪ সালের জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী তিথি পড়ছে। অষ্টমী তিথি শেষ হবে ৯ নভেম্বর। সেদিন ২৩ কার্তিক। শনিবার ২৩ কার্তিক, ৯ নভেম্বর রাত ১০ টা ৪৬ মিনিটে শেষ হবে অষ্টমী তিথি। আরেকটি মত বলছে, ৮ নভেম্বর রাত ৭.৪৮ মিনিট থেকে তিথি শুরু, তিথি শেষ হবে ৯ নভেম্বর ৬.২০ মিনিটে।
জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী তিথি:-
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ নভেম্বর ২৩ কার্তিক শনিবার রাত ১০.৪৬ মিনিট থেকে তিথি পড়ছে নবমীর। আর তিথি শেষ ১০ নভেম্বর রাত ৯ টা.০২ মিনিটে। আবার আরেকটি মত বলছে, নবমী তিথি শুরু ৯ নভেম্বর রাত ৬ টা ২০ মিনিট ৪০ সেকেন্ড থেকে। আর তিথি শেষ বিকেল ৪টে ৩৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে।