গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের একবার দুই লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই আবহে প্রতীকী কুম্ভ মেলা পালনের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে এবার বড় পদক্ষেপ নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এদিন মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে সোমবার থেকে শুক্রবার। শবিনার, রবিবার বন্ধ থাকবে মন্দির। তাছাড়া মন্দিরে ঢুকতে গেলে আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট অত্যাবশ্যক।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ফের একবার করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। মন্দিরের বহু সেবায়েতের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এই আবহে সংক্রমণ ঠেকাতেই সপ্তাহান্তে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে শনিবার ও রবিবার যখন মন্দির বন্ধ থাকবে তখন মন্দির চত্বরটি স্যানিটাইজ করা হবে। তাছাড়া মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
ওড়িশার বাইরে থেকে আসা পূণ্যার্থীদের করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই রিপোর্ট আরটি-পিসিআর হতে হবে। এবং মন্দিরে প্রবেশের ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে সেই পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। তাছাড়া কেউ যদি করোনা রোধক টিকার দু'টি ডোজ নিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে সেই শংসাপত্র থাকলেই মন্দিরে ঢোকা যাবে। মন্দিরের ভিতরে দর্শনার্থীরা বিধিনিষেধ ঠিকঠাক মানছেন কিনা, তা দেখার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত কুম্ভ মেলায় করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। যার জেরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতীকী কুম্ভ মেলা পালনের আবেদন জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে হরিদ্বারে যাওয়া পুরীর সেবায়েতদেরও করোনা পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরপরও পরিস্থিতির অবনতি দেখা গেলে প্রয়োজনে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।