বৃহস্পতিবার ভারতের চতুর্দশ উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁকে আজ শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত ৬ অগস্ট অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৭৪ শতাংশ ভোট পেয়ে মার্গারেট আলভাকে হারিয়েছিলেন ধনখড়। আজ বেঙ্কাইয়া নাইড়ুর স্থলাভিষিক্ত হলেন ধনখড়। এদিন শপথগ্রহণের আগে রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি নিজের সম্মান জ্ঞাপন করেন ধনখড়। এরপর তিনি টুইট করে লেখেন, ‘পূজ্য বাপুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারত সেবার অনুপ্রেরণা পেলাম।’
উপরাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণের আগে জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। এনডিএ-র তরফে জগদীপ ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার পরদিনই রাজ্যপালের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় জন্ম ধনখড়ের। ১৯৫১ সালের ১৮ মে তাঁর জন্ম। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম গত তিনবছরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা ধনখড় বারবারই তাঁর সংবিধানের জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর সেই জ্ঞানকে কাজে লাগাতেই তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি করা হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের একাংশের। কারণ উপরাষ্ট্রপতিকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব শান্তির জন্য পোপ-মোদীর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের সুপারিশ মেক্সিকোর
রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে অনার্স নিয়ে পাশ করার পরে তিনি এলএলবি করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস করতেন। ধনখড়ের রাজনৈতিক জীবনও বেশ বৈচিত্রের। ১৯৮৯ সালে তিনি জনতা দলের সাংসদ ছিলেন। কংগ্রেসেও ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি রাজস্থানের বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে বাংলার রাজ্যপাল হয়েছিলেন ধনখড়।