বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Jagdeep Dhankhar meets his teacher: নিজের শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা উপরাষ্ট্রপতির, ৫৫ বছর পরও ধনখড়ের রোল নং মনে আছে তাঁর!

Jagdeep Dhankhar meets his teacher: নিজের শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা উপরাষ্ট্রপতির, ৫৫ বছর পরও ধনখড়ের রোল নং মনে আছে তাঁর!

শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করলেন জগদীপ ধনখড়

কেরলে গিয়ে নিজের অঙ্কের শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি। শিক্ষিকা বলেন, 'যেভাবে জগদীপ ধনখড় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, এটাই একটা শিক্ষিকার কাছে সবথেকে বড় গুরুদক্ষিণা।'

উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে কেরলে নিজের প্রথম সফরে গিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন জগদীপ ধনখড়। ৫৫ বছর পর নিজের স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। ৮৩ বছর বয়সি রত্না নায়ার ধনখড় এবং তাঁর স্ত্রীকে দেখে আপ্লুত হন। এতবছর পরও ধনখড়ের রোল নম্বর মনে রেখেছেন রত্না। তিনি বলেন, 'ধনখড় এখনও বদলায়নি। ১৯৬৯ সালে যখন সে স্কুল থেকে পাশ করে বের হয়েছিল, তখন তাকে খুব উজ্জ্বল মনে হত। এতবছর পর এখনও তাকে উজ্জ্বল এবং নম্র মনে হল। তার সঙ্গে দেখা করে মনে হয়নি যে আমি কোনও উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলছি।' এমনকী ধনখড়ের রোল নম্বরও বলে দেন তিনি - ১৬৬।

উল্লেখ্য, গতকাল, সোমবার উত্তর কেরলের কন্নুর জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম চম্বড়ে যান ধনখড় এবং তাঁর স্ত্রী। সেখানেই থাকেন রত্না নায়ার। জগদীপ ধনখড় যখন রাজস্থানের চিত্তোরগড়ের সৈনিক স্কুলে পড়তেন, তখন সেই স্কুলে অঙ্ক পড়াতেন রত্নাদেবী। ২০২২ সালের ১১ অগস্ট ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি তাঁর শিক্ষিকাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই কেরলের ছোট্ট গ্রামে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। রত্নাদেবী জানান, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।

এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে না পারলেও জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন রত্না নায়ার। জবাবে ধনখড় তাঁকে লিখে পাঠান যে তিনি এরপরে যখনই কেরলে যাবেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই রত্নাদেবীর বাড়িতে পৌঁছে যান ধনখড়। কন্নর বিমানবন্দর থেকে ৩০ কিমি পথ গাড়িতে করে যান ধনখড় এবং তাঁর স্ত্রী। ৭২ বছর বয়সি ধনখড় রত্না নায়েরের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। এতবছর পর ছাত্রকে দেখে আপ্লুত হন রত্নাদেবীও। তাঁদের ডাভের জল এবং কলার চিপস খেতে দেন তিনি। সেই সময় ধনখড়ের সঙ্গে ছিলেন কেরল বিধানসভা স্পিকার তথা থালাসারির বিধায়ক এন শমশীর। রত্না নায়ার জানান, তিনি ১৯৬৩ সালে চিত্তোরগড়ের সৈনিক স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। এটি আবাসিক স্কুল হওয়ায় পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্ক খুব গভীর ছিল বলেও জানান রত্নাদেবী। প্রাক্তন সেনা প্রধান দলবীর সিং সোহাগও এই স্কুলেরই প্রাক্তনী ছিলেন। সেই স্কুলে ৩০ বছর পড়িয়েছিলেন রত্না নায়ার। পরে এর্নাকুলামে নবোদয়া স্কুলের প্রিন্সিপাল হন তিনি। রত্নাদেবী বলেন, 'যেভাবে জগদীপ ধনখড় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, এটাই একটা শিক্ষিকার কাছে সবথেকে বড় গুরুদক্ষিণা।'

 

বন্ধ করুন