রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। উল্লেখ্য, সরকার বিরোধী স্লোগান তুলে সংশ্লিষ্ট ১২ জন সাংসদ ওয়েলে নেমে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। সাংসদদের এহেন কার্যকলাপে রাজ্যসভার কার্যক্রমে বাধা পড়ে বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে সংসদের বিশেষাধিকার কমিটিকে এই ১২ জন সাংসদকে নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ধনখড়। এই ১২ জন সাংসদের মধ্যে নয়জন কংগ্রেসের সাংসদ এবং বাকি তিনজন আম আদমি পার্টির সাংসদ। (আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল, হকের দাবিতে গণপদত্যাগ তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের)
জানা গিয়েছে, যে ৯ কংগ্রেস সদস্যের বিরুদ্ধে ধনখড় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন - শক্তিসিং গোহিল, নারানভাই জে রথওয়া, সৈয়দ নাসির হুসেন, কুমার কেতকর, ইমরান প্রতাপগড়ী, এল হনুমন্থাইয়া, ফুলো দেবী নেতাম, জেবি মাথের হিশাম এবং রঞ্জিত রঞ্জন। যে তিন আম আদমি পার্টি সাংসদের ঘাড়ে তদন্তের খাড়া ঝুলছে, তাঁরা হলেন - সঞ্জয় সিং, সুশীল কুমার গুপ্তা এবং সন্দীপ কুমার পাঠক। বিশেষাধিকার কমিটির সামনে এই ১২ জন সাংসদের স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের জন্য তাঁদের বরখাস্ত করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার কথা।
এই আবহে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জেরে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে সাংসদদের বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান অভিযুক্ত সাসংদদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখিত সাংসদরা রাজ্যসভার নিয়ম ও শিষ্টাচার ভেঙে তারা কাউন্সিলের ওয়েলে প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে স্লোগান দেন তাঁরা। ইচ্ছে করে সংসদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন তাঁরা। চেয়ারকে তারা সংসদের কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য করেন। উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্মে আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্ক ইস্যুতে বারবার সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাতিলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিও তোলা হয়েছিল সাংসদদের তরফে। এই আবহে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে সংসদ। ব্যাহত হয়েছে সংসদের কার্যক্রম।