সদ্য দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে সিবিআই সম্পর্কে এক মন্তব্য করে। সেখানে বলা হয়, সিবিআইকে ‘খাঁজা বন্দি তোতাপাখির’ তকমা ঘোচাতে হবে। এরপরই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সদ্য মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন। তিনি সেখানে বলেন, আমাদের ' অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে।' তিনি বলেন, 'একটি পর্যবেক্ষণ' তাদের নিরুৎসাহ করে দিতে পারে।
মুম্বইয়ের এলিফ্যান্ট স্টোন টেকনিক্যাল হাইস্কুল অ্যান্ড জুনিয়ক কলেজে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সেখানে তিনি বলেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার বিষয়ে খুব সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন ‘দেশের বিচার ব্যবস্থা, আইনসভা ও এক্সিকিউটিভ বিভাগের একটিই লক্ষ্য দেশের সংবিধানের মৌলিক সত্ত্বার সাফল্য, সাধারণ মানুষকে সমস্ত অধিকার দেওয়া, যাতে দেশ সমৃদ্ধি পায়।’ ধনখড় বলেন, 'নিজের সীমাবদ্ধতার প্রতি সজাগ থাকলে একটি প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি পরিষেবা দিতে পারে।' ধনখড় আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি, নির্বাচন কমিশন হোক বা তদন্তকারী সংস্থাগুলি খুবই চাপের মধ্যে দিয়ে কাজ করে। একটি পর্যবেক্ষণ তাদের নিরুৎসাহ করে দিতে পারে। একটি একটি রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করতে পারে, একটি ন্যারেটিভ তৈরি করতে পারে।’
(রোজ স্নান করেন না ,গায়ে ছিটিয়ে নেন গঙ্গার জল! এহেন স্বামীর থেকে বিয়ের ৪০ দিনে ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী)
দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে ধনখড় বলেন,'তারা অনেক বৃহৎ, তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করে ও তারা নিজের নিজের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকে। তারা আইনের শাসনে কাজ করে।' এর আগে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের মামলার সময় বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা তাঁর পর্যবেক্ষণ পেশ করার সময় সিবিআইকে ‘খাঁচা বন্দি পাখি’ টি মন্তব্যটি করেন। তিনি বলেন, তারা ‘খাঁচা বন্দি পাখি’ এমন ভাবনা জনমানসে তৈরি হয়েছে, যা মুখে ফেলতে হবে সিবিআইকে, বরং যাতে মানুষ ভাবেন তারা খাঁচা মুক্ত পাখি। বিচারপতির মন্তব্যের পর আম আদমি পার্টির তরফে ব্যাপক সমালোচনা করা হয় বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের।