সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও কোনও কাজ হয়নি। শুক্রবার পঞ্চম দিনেও বিরোধীদের ক্রমাগত স্লোগানের ফলে মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন। আগামী সোমবার ফের অধিবেশন বসবে। মূলত মণিপুর, সম্ভল, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার স্লোগানের কারণে মুলতবি হয়ে যায় দুই কক্ষ। তাতে বিরক্ত হয়ে বিরোধীদের তীব্র নিন্দা করলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়। তিনি বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে নিয়মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন। ধনখড়ের মন্তব্য, ‘আমরা হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন সুখেন্দুশেখর, লাস্ট বেঞ্চের আর্জি, দূরত্ব কি বাড়ল?
এদিন রাজ্যসভাতে মণিপুর ইস্যু, সম্ভল, আদানি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে ১৭ জন বিরোধী সাংসদ নোটিশ দেন। তবে জগদীপ ধনখড় সেই নোটিশ বাতিল করে দেন। তার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে শুরু করেন সাংসদরা। সাংসদদের উদ্দেশ্যে ধনখড় বলেন, ‘এই বিষয়গুলি সপ্তাহে বারবার উত্থাপিত হয়েছে। যার ফলাফল আমরা ইতিমধ্যে ৩ দিনের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছি। জনসাধারণের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত ছিল। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা সময়ের ক্ষতি। প্রশ্নোত্তর না থাকার সুযোগ হারানো আমাদের বৃহত্তর জনগণের জন্য বড় ধাক্কা। আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।’
ধনখড় বিরোধী সাংসদদের খারাপ নজির স্থাপন এবং দেশের জনগণকে অসম্মান করার জন্যও অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক সিনিয়র সদস্য আছেন। এটার প্রশংসা করা যায় না। আমি গভীরভাবে ব্যথিত। আমরা এই দেশের মানুষকে অসম্মান করছি। আমরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিয়াকলাপ জনগণকেন্দ্রিক নয়। এগুলি সম্পূর্ণ বিপক্ষে। আমরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছি। মানুষ আমাদের উপহাস করছে। আমরা কার্যত হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছি।’ এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মুলতবি হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল প্রথম থেকেই বলে আসছে তারা আদানি ইস্যুতে আলোচনা করতে চায়। তবে কোনও একটা বিষয় নিয়ে সংসদ অচল করে রাখার পক্ষে তারা নয়। এদিকে, এদিন দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা বা বিবৃতির সম্ভাবনা সোমবার পর্যন্ত রইল না।