হনুমান জয়ন্তীতে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাতে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ২৮ বছরের এক যুবক রয়েছে যে কি না হিংসা চলাকালীন গুলি চালিয়েছিল। একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে সেই যুবককে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়োর ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সোনু ওরফে ইমামলা ইউনুস নামক সেই যুবককে। পাশাপাশি শেখ হামিদ নামক ৩৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকেও পুলিশ গ্রেফতার করে গতকাল। হামিদের বিরুদ্ধে বোতল সরবরাহ করার অভিযোগ। এই বোতলই নাকি ছোড়া হয়েছিল হনুমান জয়ন্তী মিছিল লক্ষ্য করে।
এদিকে দিল্লি হিংসার ‘মূল ষড়যন্ত্রী’ আনসারও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। এর আগে মহম্মদ আসলাম নামক এক ২১ বছর বয়সি যুবককেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল। তার ছোড়া গুলিতে একজন পুলিশকর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। শনিবারের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১৪৭ (দাঙ্গা) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং অস্ত্র আইনের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
এদিকে হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লির পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের খবর প্রকাশ পেতেই অমিত শাহ পুলিশ কমিশনার ও স্পেশাল কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে দিল্লির পাশাপাশি হনুমান জয়ন্তীতে হিংসার ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশেও। উল্লেখ্য, এর আগে রাম নবমী ঘিরেও দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গা হিংসার সাক্ষী থেকেছিল।