সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রাক্কালে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের বিরুদ্ধে লাইভ টুইট করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
তিনি বলেন, এই সব দলের বৈঠকের সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম ও প্রোটোকল জড়িত। মিডিয়া ব্রিফিংয়ের পরে একটি খোলামেলা এবং অবাধ ধারণার বিনিময় হয়। কিন্তু জয়রাম রমেশের টাইমলাইন দেখলেই বোঝা যায়, তিনি লাইভ টুইট করছিলেন, লিখেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
মালব্য লেখেন, পরের বার কংগ্রেসের উচিত এই প্রক্রিয়ার জন্য আরও অভিজ্ঞ মানুষকে পাঠানোর কথা বিবেচনা করা।
সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ লেখেন, 'প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে জেডিইউ নেতা বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ওয়াইএসআরসিপি নেতা অন্ধ্র প্রদেশের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দাবি করেছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে টিডিপি নেতা বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ) এবং তার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন টিডিপি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী, যারা এপ্রিল ও জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রে টানা তৃতীয়বারের জন্য জয়লাভ করেছে। তবে, প্রথম দুই মেয়াদের মতো নয়, যখন তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল, বিজেপি এখন এনডিএ-তে তার সহযোগীদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে, যে জোটটি তারা নেতৃত্ব দেয়। লোকসভায় এনডিএ-র ২৯৩টি আসনের মধ্যে টিডিপি ও জেডিইউ-এর আসন যথাক্রমে ১৬ ও ১২টি। তাদের ছাড়া জোট পাবে ২৬৫টি আসন, যা ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে সাতটি কম।
নিজ নিজ রাজ্যের জন্য একটি বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দুই দলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
এদিকে, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে আরেকটি পোস্টে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ওড়িশায় ক্ষমতা হারানো বিজেডিকে কটাক্ষ করেন, যেখানে বিজেপি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উপকূলীয় রাজ্যের প্রথম অ-বিজেডি সরকার গঠন করে।
২০১৪ সালের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে গেরুয়া শিবির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বিজেপিকে মনে করিয়ে দিয়ে বিজেডি প্রতিনিধিও বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদের সংসদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন সংসদের বাদল অধিবেশন ১২ আগস্ট শেষ হবে।