বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মুদিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা, তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের বিমান, সি১৩০ ভারতের আকাশসীমায় আসতেই ভারতীয় বায়ুসেনা তৎপর হয়। কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সেনা প্রস্তুত হতে শুরু করে। শেষমেশ ৫ অগস্ট ২০২৪ সোমবার হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের বিমান সি১৩০ ভারতে আসে। গাজিয়াবাদে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস হিন্ডোনে নামে বিমান। এদিকে, গদি হারানো শেখ হাসিনা ভারতে আসতেই ভারতের কূটনৈতিক মহলের তৎপরতা বেড়েছে।
তিনি এখন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আর আওয়ামি লিগের সেই নেত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতে। তিনি সদ্য হিন্ডোনে পা রেখেছেন। আর ভারতে শেখ হাসিনা আসতেই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। দিল্লির কাছেই উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে নেমেছেন হাসিনা। এদিকে, হাসিনার ভারত প্রবেশে সরগরম দিল্লি। এদিকে, জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও সাক্ষাৎ করেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে। বিরোধীদের তরফে সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতির দাবি করা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে।
এদিকে, হিন্ডোন এয়ারবেসে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা নামতেই, তাঁর সঙ্গে স্বাগত জানান ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসাররা। বহু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, হিন্ডোনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে, তা নিয়ে। জানা গিয়েছে, হাসিনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হতে পারে, তা নিয়ে হয়েছে দুই পক্ষের কথা। হিন্ডোনে সেনার অফিসররাও ছিলেন। জানা যাচ্ছে, হাসিনাকে নিরাপত্তা দিয়ে নিরাপদ কোনও স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতের পূর্ব অংশ জুড়ে চরম সতর্কতায় রয়েছে সেনা।
শোনা যাচ্ছে, ভারত থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন শেখ হাসিনা। তবে তার আগে, মোদীর সঙ্গে হাসিনার সাক্ষাৎ হবে কি না, তাও রয়েছে জল্পনায়। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশের এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা পরিচয় গোপন করে ভারতে ৬ বছর ছিলেন। সেবার তিনিন দিল্লির লাজপত নগরে প্রথমে কিছুদিন ছিলেন। পরে পান্ডারা পার্কের বাড়িতে তাঁকে রাখা হয়েছিল। সেবার বাংলাদেশে শেখ হাসিনর বাবা মুজিবর রহমানকে ও তাঁর পরিবারের বহু সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। তারপর হাসিনা বহু বছর দিল্লিতে ছিলেন। এরপর আরও এক কঠিন পরিস্থিতিতে দিল্লির কাছেই অবতরণ করল হাসিনার বিমান।