বারংবার প্রস্তাব দেওয়ার পর এখন সেনা কমান্ডার স্তরে ১২তম বৈঠকের কোনও দিনক্ষণ ঠিক করেনি চিন। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে টালবাহানা করছে পিএলএ। আর তা হচ্ছে বেজিংয়ের নির্দেশেই। এই আবহে তাজিকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনের সম্মেলনে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জানা গিয়েছে দুই পক্ষই এই বৈঠকে নিজেদের বক্তব্যে অনড় থেকেছে। যার জেরে লাদাখ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে বরফ গলার কোনও ইঙ্গিত মিলল না।
জানা গিয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রী দাবি জানান যাতে ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে চিনের সঙ্গে। তিনি প্যাংগং সো-র উদাহরণ তুলে ধরে দাবি করেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। পাশাপাশি বেজিংয়ের দাবি, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের জন্য চিন দায়ী নয়। তবে এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, বাণিজ্য সহ বাকি ইস্যুতে সার্বিক ভাবে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে যখন লাদাখ সমস্যা পুরোপুরি মিটবে। তিনি বলেন, আগে সীমান্ত বিবাদ মিটুক তারপর বাণিজ্য।
চিন বরাবর দাবি করে এসেছে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সংঘাতকে সরিয়ে রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে হবে। পাশাপাশি চিনের দাবি, সার্বিকভাবে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা কমেছে। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বরাবরই বলা হয়েছে যে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য সীমান্তে পুরোপুরি শান্তি ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাজিকিস্তানেও জয়শঙ্করের গলায় ছিল সেই সুর। তিনি জানান, এক তরফা ভাবে সীমান্তে বদল এনে চিন ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের চুক্তি ভঙ্গ করেছে। তবে চিনের দাবি, ১৯৮০-র দশকের মতো ২০২১ সালেও সমান্তরাল কূটনৈতিক পথে হাঁটুক ভারত। যদিও এই প্রস্তাব ভারতের তরফে খারিজ করেন জয়শঙ্কর।