কাজাখস্তানের আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষ কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। এস জয়শঙ্কর আরও বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে সম্মান করা এবং সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার তিনটি নীতি ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হবে। (আরও পড়ুন: জেল থেকে ৪ দিনের মুক্তি, ২ লাখ ভোটে জয়ী খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল শপথ নেবে লোকসভায়)
আরও পড়ুন: বাইডেনের বদলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হবেন কমলা? জল্পনার মাঝে চমক জো-হ্যারিস জুটির
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থীদের ছড়াছড়ি, তৈরি হতে পারে ইতিহাস
এর আগে বৃহস্পতিবার দুই নেতা উষ্ণ করমর্দন করেন এবং কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে তারা ক্যামেরার জন্য পোজ দেন। উল্লেখ্য, নয়াদিল্লি প্রথম থেকেই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা দু'দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের পূর্বশর্ত। এই আবহে গত মার্চ মাসে, ভারত ও চিন সীমান্তের পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সম্পূর্ণ ডিসএনগেজমেন্ট অর্জন এবং সমস্যাগুলি সমাধানের উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেছিল। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার বড় আপডেট সামনে এল, বাংলার সরকারি কর্মীদর নজরে '১৭৪')
আরও পড়ুন: এইমস থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই ফের হাসপাতালে ভরতি লালকৃষ্ণ আডবানি
এদিকে গত ২৬ জুন ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত শি ফেইহংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষ বেঁধেছিল ভারত ও চিনা সেনার। এরপরও আরও দু'বার নাকি চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এই সময়কালে অবশ্য লাদাখে প্রায় ২০ দফায় সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারত ও চিনের সামরিক আধিকারিকদের মধ্যে। তবে কোনও সমাধানসূত্র এখনও বেরিয়ে আসেনি। উলটে চিন নিজেদের অবস্থানেই অনড় থেকেছে। (আরও পড়ুন: লাগাতার দ্বিতীয় দিন ছক্কা হাঁকাল সোনা, আজ কলকাতায় কতটা দাম বাড়ল হলুদ ধাতুর?)
আরও পড়ুন: বাংলার দু'দিকে অবস্থান দুই ঘূর্ণাবর্তের, ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তর থেকে দক্ষিণ
শুধু লাদাখ নয়, উত্তরপূর্বে অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরেও স্থিতাবস্থা পরিবর্তন কার চেষ্টা আছে চিনা সেনা। এর আগে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াঙে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। ভারতীয় জওয়ানরা চিনা সেনার সেই আগ্রাসনকে রুখে দিয়েছিল। তবে কয়েকদিন আগেও পূর্ব সেক্টরে অরুণাচলকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছিল চিন।