সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে ২০২০৪ সালের অক্টোবর থেকে। তবে সব সমস্যা মিটে যায়নি। এবং অদূর ভবিষ্যতেও দুই দেশের মধ্যে যে নানা ইস্যু থাকবে, তা অকপটেই স্বীকার করে নিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখার সময় জয়শংকর বলেন, 'সমস্যা ভবিষ্যতেও থাকবে,এবং সেগুলি সমাধানের উপায়ও থাকবে। ২০২০ সালে যা হয়েছিল, সেটা কোনও পদ্ধতি না।' (আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু খলিস্তানি জঙ্গি নেতা মহল সিং বব্বরের)
আরও পড়ুন: RAW-কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো USCIRF-কে তুলোধোনা ভারতের, প্রশ্ন প্যাটার্ন নিয়ে
জয়শংকর বলেন, 'আমাদের মনে হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ভারত এবং চিনের সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। আমরা ধাপে ধাপে চেষ্টা করে দেখছি যে ফের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায় কি না। ২০২০ সালে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা মেটানো যায় কি না।' এদিকে দিল্লিতে যখন জয়শংকর এই সব বলছিলেন, তখন চিনের বেজিংয়ে ভারত ও চিনের আধিকারিকরা বৈঠকে সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
বেজিংয়ে সীমান্ত বিষয়ক ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশনের (ডব্লিউএমসিসি) বৈঠক হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। সেখানে আন্তঃসীমান্ত নদী এবং কৈলাস-মানস সরোবর তীর্থযাত্রা সহ একাধিক বিষয়ে পুনরায় পারস্পরিক সহযোগিতা শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করে দুই প্রতিবেশী দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) লাদাখ সেক্টরে সামরিক অচলাবস্থা অবসানের জন্য গত অক্টোবরে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই দেশ। এর পর থেকে উভয় পক্ষের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা জারি আছে। তারই অংশ হিসাবে এই বৈঠকটি হয় বেজিংয়ে। বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত-চিন সহযোগিতা অপরিহার্য বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন। মোদীর সেই বক্তব্যের প্রশংসাও করেছিল চিন। এই আবহে মঙ্গলের বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আজ চিন সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তার আগেই বেজিংয়ে মুখোমুখি হয় ভারত-চিন।
এই আবহে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বরে বেজিংয়ে সীমান্ত প্রশ্নে বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা রূপায়ণের জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে এই বৈঠকে। ভারতের তরফ থেকে বলা হয়, বৈঠকটি 'ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরিবেশে' অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ 'আন্তঃসীমান্ত নদী এবং কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা সহ আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে মতবিনিময় করেছে'। এদিকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এগিয়ে নিতে কূটনৈতিক ও সামরিক বোঝাপড়া জোরদার করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।